তীব্র গরমে সুস্থ থাকবেন যেভাবে
সারা দেশে চলছে অদ্ভুত আবহাওয়া, একদিকে রোদের তীব্রতা, অন্যদিকে হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি। এই রোদ, এই বৃষ্টি, দুইয়ের মিলনে গরম যেন আরও বেশি কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন অনিয়মিত ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে দরকার কিছু অতিপ্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
তীব্র গরমে যে সমস্যাগুলো হতে পারে
চিকিৎসকদের মতে, এই সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন বয়স্ক ও শিশুরা। হিট স্ট্রোক ও পানিশূন্যতা ছাড়াও দেখা দিতে পারে— মাথাব্যথা ও ক্লান্তি, ত্বকে ফুসকুড়ি বা ঘামাচি, ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও জন্ডিসের মতো পানিবাহিত রোগ, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ ও চোখের সমস্যা।
গরমে সুস্থ থাকার উপায়
১. প্রচুর পানি পান করুন:
তীব্র গরমে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে লবণ ও পানি বের হয়ে যায়। দিনে অন্তত ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন। সঙ্গে ডাবের পানি, স্যালাইন, শরবত ও ফলের রস খেতে পারেন।
২. হালকা খাবার খান:
গরমে ভারী, তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বরং পাতলা ঝোলের সবজি যেমন—ঝিঙে, লাউ, চালকুমড়া, সজনে ও চিচিঙ্গা খেতে পারেন। আমের শরবত ও টক দইয়ের শরবতও উপকারী।
৩. ঢিলেঢালা ও সুতির পোশাক পরুন:
গরমের সময় হালকা রঙের সুতির পোশাক শরীরকে আরাম দেয়। রোদে বের হলে ছাতা, সানগ্লাস ও টুপি ব্যবহার করুন।
৪. রোদ থেকে দূরে থাকুন:
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এ সময় বাইরে না যাওয়াই ভালো। যেতে হলে ছায়া খুঁজে নিন এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম:
গরমে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়। তাই প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না।
৬. গোসল ও ত্বকের যত্ন:
দিনে একাধিকবার ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে ও ত্বক সতেজ থাকে।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে দ্রুত নষ্ট হয় স্মার্টফোন
যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাদার খাবার
চা-কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন
আইসক্রিম ও কোমল পানীয়
অতিরিক্ত লবণ ও চিনি
অতিরিক্ত সতর্কতা
গরমে বাইরের রাস্তার খাবার ও অপরিষ্কার পানীয় থেকে দূরে থাকুন। হালকা গরমে হঠাৎ ঠান্ডা কিছু খেলেও সমস্যা হতে পারে। ঘরে তৈরি বিশুদ্ধ পানি ও খাবার খান, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বিষয়ে বেশি যত্নবান হোন।