পাইলস থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে
পাইলস খুবই পরিচিত একটি রোগ। পাকস্থলীর জটিল রোগগুলোর মধ্যে পাইলস অন্যতম। রোগটি বিভিন্ন পর্যায় ভেদ করে জটিল আকার ধারন করে। সঠিক সময়ে রোগ চিহ্নিত করে চিকিৎসা দেওয়া গেলে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
পাইলস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে- ১. অভ্যন্তরীণ পাইলস ২. বাহ্যিক পাইলস।
অভ্যন্তরীণ পাইলস- অভ্যন্তরীণ পাইলস মলদ্বারের ভেতরে থাকে। এগুলো সাধারণত দেখা যায় না বা অনুভব করা যায় না এবং এগুলো খুব কমই অস্বস্তির কারণ হয়।
বাহ্যিক পাইলস- মলত্যাগের সময় বাহিরে চলে আসে আঙুল দিয়ে ঢুকাতে হয়। অন্ত্রের নড়াচড়ার সময় ব্যথাহীন রক্তক্ষরণ ও মলদ্বার ব্যথা এবং জ্বালা হয়।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন পাইলস
১. রক্তপাত ২. মলদ্বারের চারদিকে ফোলা ৩. পায়ুপথ অঞ্চলে চুলকানি ৪. অস্বস্তি।
এই রোগের কারণ- অন্ত্রের নড়াচড়ার সময় স্ট্রেইন করা, টয়লেটে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা, দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া, স্থূল হওয়া, গর্ভবতী, মলদ্বারে সহবাস এবং কম আশযুক্ত খাবার খাওয়া।
প্রতিরোধে করণীয়- কিছু পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চললে এই রোগ প্রতিরোধ হতে পারে -
১. আশসমৃদ্ধ খাবার খান। বেশি ফলমূল, শাকসবজি এবং শস্য খান ও প্রচুর তরল পান করুন। মলকে নরম রাখতে প্রতিদিন ছয় থেকে আট গ্লাস পানি এবং অন্যান্য তরল (অ্যালকোহল নয়) পান করুন।
আরও পড়ুন: সন্তানের আত্মহত্যা ঠেকাতে জেনে রাখুন লক্ষণসমূহ
২. মল পাস করার চেষ্টা করার সময় শ্বাস ধরে রাখবেন না। এতে নিচের মলদ্বারের শিরাগুলোতে আরও বেশি চাপ তৈরি করে।
৩. তাগিদ অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গে মলত্যাগ করতে হবে।
৪. দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেটে বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। এতে মলদ্বারের শিরাগুলোতে চাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৫. ব্যায়াম করুন, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করবে ও শিরাগুলোতে চাপ কমাবে।
৬. উষ্ণ গরম পানিতে দিনে কয়েকবার ভিজিয়ে নিন।
৭. গোশত, কম আঁশ ও বেশি চর্বিযুক্ত খাবার, কড়া মশলা, ফাস্টফুড ইত্যাদি পরিহার করুন।
৮. ফুলে গেলে বরফ দেয়া যায়।
৯.বেশি করে পানি পান করুন।
১০. কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করুন, মলত্যাগে কখনো বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না, আটকে রাখবেন না।
১১. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। এছাড়া, নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। তাই শরীরচর্চা করুন।