এই গরমেও আরামে থাকার উপায়
এসেছে গ্রীষ্মকাল। এই মওসুমের শুরুতেই প্রচণ্ড গরমে নাকাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন। এতে চরম অস্বস্তিতে দিনযাপন করছেন দেশবাসী। আমরা জানি, গ্রীষ্মকালে সূর্য পৃথিবীতে খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ফলে গ্রীষ্মকালে দিনের সময়কাল দীর্ঘ হয় ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই এ সময় খুব গরম পড়ে।
এই গরমের কারণে লোকজনের পানিশূন্যতা, হিট স্ট্রোক, ডায়রিয়ার মত নানান অসুখ হয়। আর এসব বিষয়ে অবহেলার কারণে মানষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন, শুধুমাত্র কিছু সাধারণ বিষয় খেয়াল করে মেনে চললেই গরমের এইসব অসুখ থেকে বাঁচা সম্ভব? সেই সঙ্গে এই গরমেও আরাম পাওয়া যেতে পারে? চলুন এই গরম থেকে দ্রুত মুক্তির কিছু উপায় তাহলে জেনে নেই:
১. সূর্যের সারাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন। খুব প্রয়োজন ছাড়া এই গরমে বাইরে বের হবেন না। আর বাইরে যদি বের হতে হয় তাহলে অবশ্যই ছাতা নিয়ে বের হতে ভুলবেন না।
২. কালো রঙের পোশাক পরিধান করা এড়িয়ে চলুন। কেননা কালো রঙের পোশাক শরীর থেকে তাপ বের হতে দেয় না। তাই এই গরমে স্বস্তি পেতে সাদা বা হালকা রঙের পোশাক পরতে পারেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বসবে এশিয়া কাপের আসর
৩. রাস্তায় চলাচলের সময় যদি খুব বেশি গরম লাগে তবে গাছের ছায়ায় গিয়ে দাঁড়াতে পারেন। এতে অক্সিজেন পাবেন এবং গায়ে কিছুটা আরামও লাগবে।
৪. খুব গরমে তরমুজ, ডাবের পানি এবং লেবুর শরবত খেতে পারেন। এতে আপনার শরীর-মন সতেজ হবে। আবার পানি স্বল্পতাও দূর হবে।
৫. গরমে পানিশূন্যতা বেড়ে যায়। তাই একটু পর পর খাবার স্যালাইন মিশানো পানি পান করতে পারেন।
৬. এ সময় জুস খেতে পারেন। তবে রাস্তার অপরিচ্ছন্ন জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা ময়লাযুক্ত খাবার থেকে বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখ হতে পারে। এই সময় ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিংয়ের মতো সমস্যা বেড়ে যায়।
৭. কাজের ফাঁকে নিজেকে বিশ্রাম দিন। বিশ্রাম আপনাকে নতুন উদ্যমে আবার কাজে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে।
৮. এ সময় ভাজা-পোড়া, মাংস জাতীয় ভারী খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করুন। কেননা এ ধরনের খাবার শরীরের অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: কেমন ছিল এবারের বইমেলা
৯. গরমে যত বেশি সম্ভব সতেজ শাক-সবজি খেতে পারেন। এতে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
১০. শরীরের তাপ বেড়ে গেলে কুচকি বা বগলের নিচে আইস প্যাক রাখতে পারেন।
১১. গরম থেকে রক্ষার জন্য বাইরে থেকে বাসায় ফেরা মাত্রই শরীরের ঘাম শুকিয়ে নেন। তারপর দ্রুত গোসল সেরে নিন। এতে শরীর-মন ফুরফুরা লাগবে।
১২. তবে খুব গরমে তৎক্ষণাৎ বেশি ঠান্ডা জায়গায় যাবেন না বা অতিরিক্ত ঠান্ডাজাতীয় খাবার খাবেন না। এতে তাপমাত্রার ওঠানামার কারণে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। একটু অপেক্ষা করে গরম থেকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা পরিবেশে যান। ফ্রিজের খাবার খাওয়ার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
১৩. বাইরে বের হলে লাইব্রেরি বা হোটেলে অর্থাৎ যে জায়গায় এয়ারকন্ডিশন রয়েছে এমন জায়গায় সময় কাটাতে পারেন। তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।