করোনার প্রথম ডোজ গ্রহণে ১০ কোটি মানুষের রেকর্ড
গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণহারে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। এরপর এক বছর হতে না হতেই দেশে করোনার প্রথম ডোজ গ্রহণে ১০ কোটি মানুষের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৷ যা দেশের স্বাস্থ্য খাতের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে করোনা পরিস্থিতির উপর দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে করোনার টিকার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চীনে অধ্যয়নরত ৫ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি
বুলেটিনে বলা হয়, দেশে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ৯ কোটি ৮৯ লাখের বেশি মানুষ। আজ এ সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬ কোটি ৪৬ লাখের বেশি মানুষ। প্রান্তিক, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের টিকাকেন্দ্রে যাওয়া ও টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। এর মধ্যে ১ কোটি ৪১ লাখ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২৬ লাখ।
দেশে এক বছর ধরে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। করোনার টিকা দেওয়ার গতি বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একাধিক বিশেষ কর্মসূচি বা ক্যাম্পেইন করেছে। এসব কর্মসূচিতে করোনার জন্য নির্ধারিত টিকাকেন্দ্র ছাড়াও ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে কয়েক দফায় টিকা দেওয়া হয়। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিকেও টিকা দেওয়া হচ্ছে।
সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, দুই দিন ধরে সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে সামগ্রিক করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী, তা এখনো বলার সময় হয়নি। শনাক্তের বিপরীতে এখনো দৈনিক মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে সাইকেল চুরি, নীরব দর্শকের ভূমিকায় ঢাবি প্রশাসন
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই ঢাকায় সংক্রমণের প্রবণতা বেশি। তবে এখন ঢাকার হাসপাতালগুলোয় কোভিড ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা আছে ৫ হাজার ২৫৩। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৯টিই খালি বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) নাজমুল ইসলাম।
নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, হাসপাতালগুলোর ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ এখনো তৈরি হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার মতো নিয়মগুলো মানলে পরিস্থিতি অনুকূলেই থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।