০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:২৬

রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৫ জনের মৃত্যু

করোনা ইউনিটে আরও ৫ জনের মৃত্যু   © সংগৃহীত ছবি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে তিনজন রাজশাহীর এবং বাকি দুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলার বাসিন্দা।

তিনি বলেন, একজন করোনায় সংক্রমিত এবং বাকিরা করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান বন্ধ থাকবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

তিনি আরও জানান, এই সময়ের মধ্যে করোনা ইউনিটে আরও ১৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মোট রোগীর সংখ্যা ৬৫ জন। এর মধ্যে ৩৯ জন করোনা পজিটিভ। একই সময়ে ২৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

এদিকে, গতকাল বুধবার রাজশাহীর দুটি ল্যাবে ৬৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৪১.৯৭ শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোগী শনাক্তের হার ৪৪.৩০ শতাংশ এবং নাটোরে ২৩.৪৪ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনা কর্মকর্তা নিহত

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।