শীতকালে পায়ের রগে টান ধরলে যা করবেন
শীতকালে পায়ের রগে টান ধরার সমস্যা অনেকেরই হয়। কিন্তু সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করা প্রয়োজন তা অনেকেরই জানা নেই। আসলে এই টান ধরার কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে এই টান ধরার প্রবণতা বাড়ে।
শীতে পানি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ফেলেন অনেকে। ফলে শরীরে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। এতেও শিরায় টান ধরা বা ক্রাম্পের প্রবণতা বাড়ে।
যে কারণে পায়ের রগে টান ধরতে পারে-
>> শরীরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের ঘাটতি।
>> অতিরিক্ত ব্যায়াম, পরিশ্রম বা পায়ের পেশির বেশি ব্যবহার।
>> পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। খুব ঠান্ডা আবহাওয়া।
>> গর্ভকালীন, বিশেষ করে শেষের দিকে প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবে রগে টান পড়ে।
>> বেশি সময় বসে থাকা, শক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা, ঘুমের সময় ভুল দেহভঙ্গির কারণে এমন হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘ওমিক্রন’ দরজায় কড়া নাড়ছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
হঠাৎ পায়ের রগে টান ধরলে ঘরোয়া উপায়েই তা সারিয়ে তুলতে পারবেন। তবুও যদি না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি-
>> হাত-পা-আঙুল বা কোমরে ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থানে ও তার চারপাশে আঙুলের চাপে ম্যাসাজ করুন। এমনভাবে মাসাজ করতে হবে যাতে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
>> পায়ে ক্র্যাম্পের ক্ষেত্রে হালকা করে চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। অন্য কোনো ব্যায়াম এ সময় না করাই ভালো।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
>> থাইয়ের পেশীতে টান লাগলে জায়গাটা নরম করে একটি শক্ত কিছুতে ভর দিয়ে দাঁড়ান। টান ধরা পাকে কোমর অবধি টানটান করুন ধীরে ধীরে।
>> হট ব্যাগ ব্যবহার করুন টান ধরার জায়গায়। ১০ সেকেন্ড রাখার পর সেখানে বরফ সেঁক দিন। আবার ১০ সেকেন্ড পর হট ব্যাগ দিন। এভাবে ঠান্ডা ও গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমতে শুরু করবে।
>> হঠাৎ পায়ে টান ধরলে শক্ত কোনো কাজ করবেন না। এতে টান ধরা জায়গায় চাপ পড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
পায়ে টান ধরা ব্যথা কমাতে যা যা খাবেন-
>> সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করতে ডাবের জল বা লেবু-পানিও খেতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরে জলের ঘাটতির জন্যই এমনটি হয়।
>> পটাশিয়ামের সেরা উৎস হলো কলা। পটাশিয়াম কার্বন ভাঙতে ও পেশির গঠনে সাহায্য করে। তাই কলা এক্ষেত্রে উপকারী খাবার হতে পারে। পটাশিয়াম কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
>> কলার পাশাপাশি মিষ্টি আলুও খেতে পারেন। রাঙা আলু পটাশিয়ামের ভালো উৎস। এ ছাড়াও এতে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম আছে। সাধারণ আলু ও কুমড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের জোগান দেবে।
>> শীতকালে শিম ও মটরশুঁটি শরীরে প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়ামের জোগান বাড়াবে। এ ছাড়াও শিমের কালো বীজ খেতে পারেন। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে।
সূত্র: জিনিউজ