১৮ হাজার কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ শনিবার থেকে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ১৮ হাজার কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধন উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। টিকা পাওয়া সাপেক্ষে অনেক কিছু নির্ভর করে। সারা বছরব্যাপী আমাদের টিকা কার্যক্রম চলবে। গ্রামগঞ্জে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্ক নারীদের বেশি গুরুত্ব দেব। কারণ আমাদের ফ্রন্টলাইনের লোকজন, ছাত্ররা প্রায় টিকা পেয়েছেন। তাই আমরা বর্তমানে গ্রামগঞ্জে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের দেড় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। এরইমধ্যে তারা টিকা পাঠানোও শুরু করেছে। আমরা চীন থেকে আরও ছয় কোটি টিকার চুক্তি করব। এর মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দুই কোটি করে মোট চার কোটি টিকা আসবে। আগস্ট মাসেও টিকা আসবে, তবে কিছুটা কম।
পড়ুন: রাজশাহীতে ‘ভুল কেন্দ্রে’ টিকা নিতে হাজার মানুষের ভিড়
এর আগে, এদিন সকাল থেকে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। ছয় দিনে পর্যায়ক্রমে টিকা পাবেন গ্রাম, শহর ও দুর্গম এলাকার মানুষ। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরও টিকা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, এখন সময় এসেছে করোনারোগীর সংখ্যা কমানোর, হাসপাতালের বেড বাড়ানোর নয়। করোনা ইনফেকশন কমাতে হবে। ইনফেকশন হাসপাতালে, ক্লিনিকে তৈরি হয় না। ইনফেকশন রাস্তাঘাটে দোকানপাটে ফেরিতে, ফ্যাক্টরিতে, গ্রামগঞ্জে হয়। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব মানছে না, ফলে ইনফেকশনের হার বাড়ছে।