শূন্য পদে বদলির প্রজ্ঞাপন কবে—জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ PM , আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে বদলির প্রজ্ঞাপন চলতি ডিসেম্বর মাসে জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ বুধবার বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে সর্বজনীন বদলি নিয়ে কাজ করছি। আজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব শিক্ষককেই বদলি করা সম্ভব।’
শূন্য পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারিতে বিলম্ব কেন হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বেশ কিছু কারণে বেসরকারি শিক্ষকদের সর্বজনীন বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা সম্ভব হয়নি। প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে বদলির আওতায় আনা খুব সহজ ব্যাপার নয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেছে। খুব দ্রুত শিক্ষকরা সুখবর পাবেন।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো নিয়ে যা জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা
কবে নাগাদ বদলির প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বদলির প্রজ্ঞাপন জারির নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করার। বদলি প্রজ্ঞাপন জারি হলেও এখনই বদলি শুরু করা সম্ভব হবে না। এজন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে।’
জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সুপারিশ করে আসছে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক সুপারিশ করার ফলে নিজ উপজেলায় শূন্যপদ না থাকায় অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে মাদরাসায় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেরিট পজিশন অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক সুপারিশ করা হয়েছিল।
এনটিআরসিএর নিয়োগ পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যেকোনো বয়সে পরবর্তী যেকোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেরিট পজিশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্যপদ না থাকায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন। তবে পরবর্তী সময়ে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরিপত্র ২০১৫-এর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করার কারণে চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের বদলি আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা সমস্যায় পড়েছেন। এ অবস্থায় দ্রুত শূন্য পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন তারা।