০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫২

নতুন শিক্ষাক্রমে কত টাকা অপচয় হয়েছে জানতে কমিটি

নতুন শিক্ষাক্রমের ক্লাস  © সংগৃহীত

আলোচিত সমালোচিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সরকারের কত টাকা অপচয় হয়েছে তা জানতে একটি কমিটি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবির একজন সদস্যের নেতৃত্বাধীন এ কমিটি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে, তা খুঁজে বের করে প্রতিবেদন দেবে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেন। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত কত কোটি টাকা অপচয় হয়েছে, তা জানতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান এনসিটিবির একজন সদস্য। তাকে সহায়তা করবেন আরো চারজন।

আরও পড়ুন : পরামর্শের তোয়াক্কা না করে আমূল পরিবর্তনই শিক্ষাক্রমের কাল

তিনি আরও বলেন, কমিটিতে যথাশীঘ্র প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে জানা যাবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কত কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। 

দায়িত্ব নেয়ার ২৩ দিনের মাথায় গত ১ সেপ্টেম্বর নতুন শিক্ষাক্রম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। ২০২৩ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হওয়া ওই শিক্ষাক্রম নিয়ে অভিভাবকমহলে বিপুল সমালোচনা ছিল শুরু থেকেই। তাই শিক্ষাবর্ষের নবম মাসে এসে ওই কারিকুলাম বাস্তবায়ন বন্ধ করে ডিসেম্বরে আগের নিয়মে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির এক কোটি শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কারিকুলাম বাস্তবায়নযোগ্য না হলেও ওই কারিকুলামের বই চলতি বছরের জন্য বহালই থাকবে। 

সংশ্লিষ্টদের মতে, নতুন শিক্ষাক্রম থেকে সরকার মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণের পুরো টাকাই অপচয় হয়েছে। এছাড়া কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য সেমিনার বাবদ খরচও অপচয়। তবে গত দুই বছর শিক্ষার্থীরা যে বই পেয়েছিলেন তা ছাপার খরচ অপচয় হবে কী-না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

আরও পড়ুন : আগের শিক্ষাক্রমেই ফিরছে বই, জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর আশা

নতুন কারিকুলাম প্রনয়ণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে রাতারাতি বদলে ফেলা হয়েছিল শিখন-শেখানোর প্রচলিত পন্থা। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে চলে আসা পরীক্ষা নির্ভর মূল্যায়ন পদ্ধতি থেকে হুট করে অভিজ্ঞতা নির্ভর মূল্যায়ন শুরু হয়েছিল। গঠনমূলক সমলোচনা বা পরামর্শও গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়গুলো নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য কাল হয়ে এসেছে।