০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৬

বন্যা পরিস্থিতিতে ১৮৬ প্রাথমিক  বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

ছবি  © টিডিসি

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নেত্রকোনার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জেলার চার উপজেলার ১৮৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমদাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারণে প্লাবিত হওয়া দুর্গাপুর উপজেলার ৬২, কলমাকান্দা উপজেলার ৯৩, পূর্বধলা উপজেলার ১১ ও সদর উপজেলার ২০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পানি নেমে যাওয়ার পরপরই এসব বিদ্যালয়ে পুনরায় শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।’

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, ‘রবিবার রাত ৯টা পর্যন্ত কংস নদীর পানি জারিয়া পয়েন্টে কিছুটা কমে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ও উব্ধাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে স্থিতিশীল থাকলেও বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলেও বিজয়পুর পয়েন্টে ৩২৯ সেন্টিমিটার ও দুর্গাপুর পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার এবং ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে বাড়লেও বিপদসীমার ১৯১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছিল।’

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত নেত্রকোনার জারিয়া জাঞ্জাইলে ৩০৮ মিলিমিটার ও দুর্গাপুরে ২৩০ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয় বলেও জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

আরও পড়ুন: বসুন্ধরা চেয়ারম্যান ও এমডির ব্যাংক হিসাব জব্দ

কলমাকান্দা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়াতে নদীতে পানি বাড়ছে তবে তা এখনো সব পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ রেডি আছে। প্রয়োজন পড়লে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে।’