উৎসবে-৪৫: অর্থ নয়-ছয়ের পর এবার শিক্ষকদের আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৬:৫৭ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:০৬ PM
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের ‘উৎসবে-৪৫’ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। রেজিস্ট্রেশন ও স্পন্সরের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগের পর এবার অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ উঠেছে।
যদিও আয়োজক কমিটির দাবি, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সব শিক্ষককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানে কারা কারা থাকতে আগ্রহী সে বিষয়ে সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কাছে একটি তালিকা চাওয়া হয়েছিল। সেই তালিকা অনুযায়ী শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
আয়োজক কমিটির এ দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত একাধিক শিক্ষক। তারা বলছেন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়ার জন্য ২৪ জন শিক্ষকের একটি তালিকা করা হয়েছিল। সেই তালিকা আয়োজক কমিটিই করেছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ায় পরে তারা একটি ফর্মের মাধ্যমে শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করে।
আরও পড়ুন: বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ পুনর্মিলনীর অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগ
এ বিষয়ে উৎসবে-৪৫ পুনর্মিলনী আয়োজক কমিটির সদস্য মো. রাকিবুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অনুষ্ঠানটি ঈদের পরের দিন হওয়ায় কারা থাকতে পারবেন সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি তালিকা চাওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় প্রায় ৭০ জন শিক্ষক ছিলেন। ২৪ জন শিক্ষকের লিস্ট করা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির সব শাখা মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। তবে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সব শিক্ষককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অল্প কিছু শিক্ষককে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও চাকরি হারানোর ভয়ে তারা প্রকাশ্যে কোনো প্রতিবাদ করেননি।
নাম অপ্রকাশিক রাখার শর্তে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে প্রথমে সব শিক্ষককে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আয়োজক কমিটি গুগল ফর্মের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছে জানতে চান কারা কারা অনুষ্ঠানে আসতে আগ্রহী। বিষয়টি শিক্ষকদের জন্য অপমানজনক।
ওই শিক্ষক আরও জানান, আয়োজক কমিটির এমন আচরণ শিক্ষকদের জন্য চরম অপমানের। যাদের হাত ধরে আজ সবাই বড় হয়েছে, তাদের আমন্ত্রণ জানাতে এমন কৃপনতা কেন? স্কুলের ক্লাসে যে অনুষ্ঠানগুলো হয়, সেখানেও শিক্ষকদের এর চেয়ে ভালোভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। শিক্ষকরা তাদের আত্মসম্মানের জায়গা থেকে অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। তবে অল্প কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মুখের দিকে তাকিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে সম্মত হয়েছিলেন।