বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শীর্ষ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের গল্প
শুরুটা ১৯৯৩ সালে। ছোট্ট একটি কক্ষের অফিস দিয়ে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকায়নি প্রতিষ্ঠানটি। তাকায়নি বলতে আসলে তাকাতে হয়নি। গুণগত মান, পেশাদারিত্ব এবং শিক্ষার্থীদের দেশের সীমানা পেরিয়ে উচ্চমানের শিক্ষালাভের লালিত স্বপ্নের সর্বোচ্চ যত্নের কারণে সেটি এখন বাংলাদেশে শীর্ষ স্টুডেন্ট কন্সালটেন্সি বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। বলা হচ্ছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের কথা। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের নানা স্বপ্ন পূরণের সারথি এ প্রতিষ্ঠান এখন আস্থার সাথেই বলতে পারছে তাদের সাফল্যের কথা।
বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক বর্তমানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনার জন্য যাবতীয় পূর্ণাঙ্গ সেবা প্রদান করছে। প্রতিষ্ঠানটির একদল নিবেদিতপ্রাণ অভিজ্ঞ কর্মীরা দেশের বাইরের শিক্ষালয়ে আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন পর্যন্ত যাবতীয় সহায়তা করে থাকে। সবমিলিয়ে নিশ্চয়তার সাথে বিদেশে শিক্ষা গ্রহণের স্বপ্নের ভিত্তি স্থাপনের কাজ করছেন তারা।
যাত্রা শুরুর পর থেকেই আমাদের পথচলা কখনই সহজ ছিল না। এক রুমের একটি অফিস দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম এবং এখন এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি—লায়ন এম কে বাশার, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বিএসবি ফাউন্ডেশন
খোঁজে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণের সারথি হয়েছে। যা প্রতিষ্ঠানের বড় অর্জন এবং আস্থার জায়গা বলে মনে করে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক সংশ্লিষ্টরা। দেশের বাইরে শিক্ষাগ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আস্থার এ প্রতিষ্ঠানটি সবসময়ই নিজেদের দ্বার উন্মোচিত রেখেছে স্বাপ্নিক শিক্ষার্থীদের জন্য। শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি শৈল্পিক সেবাখাতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কার এবং সম্মাননা। আর এসব অর্জন শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি এবং আগামীদিনে আরও বেশি কাজের প্রত্যয়ে দৃঢ়চেতা করছে— এমনটাই মন্তব্য এর কর্ণধারদের।
আরও পড়ুন: ‘যোগ্যতা কাঠামো’য় বাঁধা বিদেশে উচ্চশিক্ষা
শুধু তাই নয়, দেশে এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের স্লোগানকে সামনে নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে ছাপিয়ে বিএসবি ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ অ্যাকাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। যেখানে বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল ক্লাস রুম এবং স্মার্ট ক্যাম্পাসের সূচনা হয়েছে।
বর্তমানে এ নেটওয়ার্কের ১৭টি ক্যাম্পাসে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং কলেজ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষার্থীদের একটি নিরবচ্ছিন্ন এবং ফলপ্রসূ শিক্ষাজীবনের নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এছাড়া আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতার উন্নয়নেও কাজ করছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। এজন্য গড়ে তুলেছে সিআইএমএল নামে ভাষা শিখন প্রতিষ্ঠান; যা বিদেশমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন এবং পরীক্ষা পরিচালনা করছে।
এর বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিয়ে শিক্ষা মেলা, সরাসরি ভর্তি এবং মূল্যায়নসহ নানা আয়োজন করে থাকে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। এসব আয়োজন দেশীয় শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি যোগসূত্র হয় বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরের উচ্চশিক্ষালয়গুলো সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা সৃষ্টিতে সহায়তা করে। ফলে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণের সারথি হয়েছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি শৈল্পিক সেবাখাতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কার এবং সম্মাননা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অর্জনের ঝুঁলিতে।
বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আইএলটিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন সামিউল ইসলাম ফাহিম ও রায়হান রহমান। বর্তমানে কানাডার ম্যানিটোবা ইউনিভার্সিটি ও ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত এ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে। তারা বলছেন, ছোটবেলা থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন ছিল তাদের। সে স্বপ্ন পূরণে তার স্বপ্ন সারথি হয়েছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। এর বাইরে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিস্তৃত শিক্ষা সহয়তামূলক নেটওয়ার্কও তাদের সহায়তা করেছে।
দেশের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রোথিত রেখে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক বর্তমানে দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি একটি প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই তার সাফল্যের ৩১তম বার্ষিকী উদ্যাপন করছে। সাফল্যের এ রঙিন পথচলার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এবং ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশে এবং দেশের বাইরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার মধ্য দিয়ে নিজেদের সাফল্যের জানান দিচ্ছে।
পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি এবং সুদৃঢ় পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অগ্রযাত্রার এ দৃঢ়প্রত্যয়ে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক স্বপ্ন দেখে শতভাগ মানুষের সাক্ষরতা অর্জনের মাধ্যমে এক প্রত্যয়ী বাংলাদেশ বিনির্মাণের। বর্তমানে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৭টি ক্যাম্পাসে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।
বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের হাত ধরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন, অফার লেটার গ্রহণ, ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল কাজই করেছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ভাষাগত প্রশিক্ষণ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ক্যাম্পাসে সারথি হয়েছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক।
আরও পড়ুন: জটিলতায় বিদেশে উচ্চশিক্ষা, পথ দেখাচ্ছে দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
বিগত তিন দশকের এ পথচলাকে সাফল্যময় বলে মনে করেন বিএসবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের কর্ণধার লায়ন এম কে বাশার। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, যাত্রা শুরুর পর থেকে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের পথচলা কখনই সহজ ছিল না। বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক একটি এক রুমের অফিস দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এবং এখন এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। আমরা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার মাধ্যমে বিশ্বস্ততা অর্জন করেছি। যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে এখনও তাদের অ্যাকাডেমিক পথ নির্ধারণ করতে পারেনি তাদের জন্য বিএসবি সবসময়ই পাশে ছিল, আছে এবং সামনেও থাকবে।
বিএসবি বিশ্বাস করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই সর্বোত্তম উচ্চশিক্ষা অর্জনের অধিকার রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে অপার সম্ভাবনার প্রতি লক্ষ্য রেখে বিএসবি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সকলকে একটি সম্ভাবনাময় আগামীর পথ দেখিয়েছে। এই যাত্রাপথ কখনই মসৃণ ছিল না, ছিল কণ্টকাকীর্ণ কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আজ এই সফলতার পথে হাঁটছি।
লায়ন এম কে বাশার বলেন, দেশে এবং দেশের বাইরে চলমান নানা সংকটে শিক্ষা খাতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এরপরও আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের সকল সেবার মান আরও উন্নত করতে চাই। নতুন গন্তব্য অধ্যয়নের জন্য যাবার পর যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয় সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করা, বিশ্বব্যাপী নামকরা স্কলারশিপ প্রোগ্রামগুলিতে যেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা জায়গা করে নিতে পারে তা নিয়ে কাজ করা। বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্র এবং কর্মজীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে জন্য তৈরি পরামর্শ দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সহযোগিতা করা। সেবা প্রদান বাড়ানোর জন্য প্রযুক্তি নির্ভর একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং অনলাইন কাউন্সেলিং প্ল্যাটফর্ম এবং ভার্চুয়াল ক্যাম্পাস ট্যুরের মতো উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।