নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার, তিন কারণে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা

এনসিটিবির লোগো
এনসিটিবির লোগো  © ফাইল ফটো

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মামলা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করা হয়।

জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তবে একটি মহল প্রিন্টিং প্রেস থেকে তা সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একজন সদস্যের বক্তব্য ভিডিও করে প্রচার এবং বই নিয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। এজন্য কোচিং সেন্টারের মালিকরা নতুন শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত হয়েছেন। তারাই কিছু লোককে রাস্তায় নামিয়েছেন। ফেসবুকে নানা নামে গ্রুপ খুলেছে ‘অপপ্রচারকারীরা।’ 

তারা জানান, অপপ্রচারকারীরা প্রিন্টিং প্রেস থেকে আগেই কপি সংগ্রহ করছে। বিষয়টি রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। তারা পরবর্তীতে আরও বড় কিছু ঘটাতে পারে। তাদের রুখতে মামলা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাতে বই পৌঁছানোর আগেই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে পৌঁছেছে। বিষয়টি গুরুতর। আমরা এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। আশা করছি তারা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম পাঠদান শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণীর ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ এবং ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ বই ছাপা নিয়েই বেশি ‘জটিলতায়’ পড়েছে এনসিটিবি।

‘বিজ্ঞান ও অনুসন্ধানী পাঠ’ বইটি কয়েকটি ছাপাখানায় পুরোদমে মুদ্রণ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় সম্প্রতি এনসিটিবির নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়েছে। বইটির প্রায় এক লাখ কপি ছাপানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিভাবকদের ‘অপপ্রচারের’ কারণে ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইয়ের পান্ডুলিপি চূড়ান্ত করতে ‘ধীরে’ এগুচ্ছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

এনসিটিবির সম্পাদনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বিষয়জুড়ে দিয়ে ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইটির ২৬০ পৃষ্ঠার মতো পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করা হয়েছিল। পরে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বিষয়গুলো বাদ দিয়ে বইটির আকার ২০০ পৃষ্ঠার কাছাকাছি রাখা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে কোনো জটিলতা নেই। যেহেতু নতুন শিক্ষাক্রম, সেহেতু আমরা একটু ভেবে চিন্তে সবকিছু চূড়ান্ত করছি। তবে নভেম্বরের মধ্যেই পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়ে যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ