নীতিমালা জারি

ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নির্ধারণ করল সরকার

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের লোগো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের লোগো।   © সংগৃহীত

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ১০ হাজার নির্ধারণ করেছে সরকার। এবারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তি লটারির বাইরে করা যাবে না।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালাটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। এর আগে রবিবার (২২ অক্টোবর) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নীতিমালা জারি করা হয়।

রাজধানীর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি ফিস নিতে পারবে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার। অন্যদিকে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি ফি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারণ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। তবে সরকারি বিদ্যালয়ে একটি ক্লাসে সর্বোচ্চ ৫৫ জনকে ভর্তি করা যাবে।

এ বছরের নীতিমালায় বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রথমতে এবং দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। লটারির বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।

রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। আর ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফিস ১০ হাজার টাকা। রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট্রের তহবিলের জন্য ভর্তিকালীন সময় শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট হিসাব খাতে জমা দিতে হবে উল্লেখ করে নীতিমালায় বলা হয়, ৭০ টাকা অবসর ও ৩০ টাকা কল্যাণ তহবিলের জন্য জমা দিতে হবে।

প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছর বা তার বেশি হতে হবে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ বিবেচিত হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন ও লটারির তারিখ নির্ধারণ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স প্রথম শ্রেণি থেকে ধারাবাহিক হিসাব প্রযোজ্য হবে।


সর্বশেষ সংবাদ