মেদ ঝরাবে এই সাত সুস্বাদু ফল
ওজন কমানো একটি ধৈর্যের পরীক্ষা। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো কিংবা খাদ্যতালিকায় কঠোর নিয়ম অনুসরণ করেও অনেকেই কাঙ্ক্ষিত ফল পান না। তবে এমন কিছু ফল আছে, যেগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া সহজ হতে পারে।
ফল আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক পুষ্টির জোগান দেয়। এতে থাকে অল্প ক্যালরি, উচ্চমাত্রার ফাইবার, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ। অনেক ফলে আবার এমন কিছু উপাদান থাকে, যা চর্বি গলিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এমনই সাতটি ওজন কমানো সহায়ক ফলের কথা।
১. আঙুর
মিষ্টি স্বাদের এই ছোট ফলটি ওজন কমাতে বেশ উপকারী। এতে ক্যালোরি কম, অথচ ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। গ্লাইসেমিক সূচকও কম হওয়ায় রক্তে চিনি বাড়ায় না। আঙুরের রস শরীরের ক্যালোরি খরচ বাড়ায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আরও পড়ুন: ভিটামিন ডি কেন শরীরের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ? জানুন উপকারিতা ও ঘাটতির লক্ষণ
২. আপেল
আপেল ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। এতে ক্যালোরি কম হলেও থাকে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আপেল খোসাসহ খেলে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়।
৩. তরমুজ
তরমুজের ৯০ শতাংশই পানি, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং ত্বক সতেজ করে। এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন সি, যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তরমুজ খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে, কম খাওয়া হয়, ফলে ওজনও কমে।
৪. পেঁপে
পেঁপেতে ফ্যাট থাকে খুবই কম এবং হজম শক্তি বাড়ায় এমন এনজাইম বিদ্যমান। হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে ওজন কমা সহজ হয়। প্রতিদিন পেঁপে খাওয়া ওজন কমানোর পাশাপাশি ত্বক ও পরিপাকতন্ত্রের জন্যও উপকারী।
৫. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রচুর ফাইবার। এটি পেট দীর্ঘক্ষণ ভরিয়ে রাখে, ফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। এই ‘হেলদি ফ্যাট’ শরীরে জমে থাকা চর্বি ভাঙতেও সাহায্য করে।
৬. পেয়ারা
পেয়ারা ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি খেলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজনও কমতে থাকে। বিশেষ করে সবুজ পেয়ারা খেতে আরও বেশি উপকারী।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা ভাত গরম করে খেলে কী হয়? জানুন স্বাস্থ্য ঝুঁকি
৭. কমলালেবু
কমলালেবুতে ক্যালরি কম, কিন্তু ভিটামিন সি ও ফাইবার বেশি। এটি শরীরকে সতেজ রাখে, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। পাতলা আঁশসহ কমলা খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
ওজন কমানো মানেই না খেয়ে থাকা নয়। বরং বেছে নিতে হবে সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার। উপরের সাতটি ফল নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে, আর ওজন কমার প্রক্রিয়াও হবে মসৃণ। অবশ্যই সঙ্গে চাই নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম।