শিশু নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত কলেজছাত্র মুনঈম

  © টিডিসি ফটো

শিশুদের নোবেলখ্যাত ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার-২০২০’র জন্য মনোনীত হয়েছেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী এমএ মুনঈম সাগর। ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার তাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়ে নেদারল্যান্ডস সরকারের পিচ রাইটস কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে। এ খবরে তার দেশের বাড়ি বরগুনার তালতলীতে আনন্দের বন্যা বইছে।

জানা গেছে, এমএ মুনঈম সাগর তালতলীর চামোপাড়া গ্রামের শাহ হুমায়ুন সগির ও মনিরা বেগম দম্পতির বড় সন্তান। ছোটবেলা থেকেই শিশু অধিকার বাস্তবায়নে তার ছিল অদম্য ইচ্ছা। তারই ধারাবাহিকতায় মুনঈম শিশু অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন। আগ্রহ দেখে বাবা শাহ হুমায়ুন সগির ছেলেকে সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ জোগান এবং প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ ডিজাবল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট (বিডিডিটি) নামের একটি সংগঠন। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাত্র ৯ বছর বয়সে অসহায়, গৃহহীন, মাতৃহীন ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য কাজ করেন সাগর। তার কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে দেশ গড়িয়ে বিদেশে।

মুনঈম সাগর বর্তমানে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান শাখার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। অধিকারবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মুনঈমের অনেক লেখা বাংলাদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন দক্ষ সঙ্গীতশিল্পীও। মুনঈমের মা মুনিরা বেগম পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা। বাবা আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সহকারী।

মুনঈম তার এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাপান সরকারের ‘সেভেন মিতসুবিসি জাপান এএনআইকেকেআই ফেস্ট বেস্ট ক্রিয়েটিভ অ্যাওয়ার্ড-জাপান সরকার ২০১৩’, বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সেরা সমাজকর্মী-২০১৭, বেস্ট স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০১৭, জাতীয় সেরা স্কাউট মোটিভেটর অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ পুরস্কারসহ ১৫টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।

মুনঈম সাগরের মা মুনিরা বেগম বলেন, এটি তার ছেলের শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতি। তিনি সবার কাছে ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন।

এমএ মুনঈম সাগর বলেন, শৈশবে আমার দুই বন্ধু খাবার ও ওষুধ না পেয়ে মারা যায়। ওই ঘটনা আমাকে খুব ব্যথিত করে। এরপর থেকে নিজে প্রতিজ্ঞা করি শিশুদের নিয়ে একটা কিছু করার। এ পর্যন্ত অন্তত ৫ হাজার অধিকারবঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রাপ্তিতে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। দেশবাসীর কাছে তিনি দোয়া প্রার্থী।


সর্বশেষ সংবাদ