জেএসসিতে ‘এ প্লাস’, এসএসসিতে ‘এ’— দুশ্চিন্তায় শতাব্দী রায়

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের হল ও প্রতীকী ছবি
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের হল ও প্রতীকী ছবি  © ফাইল ফটো

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে উচ্চ মাধ্যমিকের গ্রেড নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি। এরপর গ্রেড নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন শতাব্দী রায় নামে এক ছাত্রী।

জানা গেছে, শতাব্দী রায় সাভারের মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরীক্ষার্থী। জেএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাক্ষর রাখতে পারলেও এসএসসিতে পান জিপিএ-৪.২২। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের পুনরায় ভেবে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খানের মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই ছাত্রী। শতাব্দী সাভারের মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের একজন শিক্ষার্থী।

কিন্তু কেন এই আইনি নোটিশ? বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শতাব্দীর বাবা অরূপ কুমার বৃহস্পতিবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমার মেয়ে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এরপর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.২২ পায়। তবে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য সে নিজেকে ব্যাপকভাবে প্রস্তুত করেছিল। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর গতকালকের ঘোষণার পর সে ভেঙে পড়েছে।

তিনি বলেন, উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পর থেকেই শতাব্দীর মধ্যে এক ধরনের জেদ ভর করেছিল। সেই জেদ থেকেই সে দিন-রাত পড়ালেখা করত। ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে সে এইচএসসির টেস্ট পরীক্ষায় সব বিষয়ে ৯০ শতাংশের উপর নাম্বর পেয়েছে। এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেত বলেই আমাদের বিশ্বাস ছিল। কিন্তু পরীক্ষা না হওয়ায় তার সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে। মূলত এসব কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে শতাব্দী।

এর আগে সকালে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড় করার কারণে একদিকে যেমন অনিয়মিত, একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য, প্রস্তুতিহীন শিক্ষার্থীর জন্য সুযোগ তৈরি হবে, তেমনিভাবে কোনও কারণে জেএসসি কিংবা এসএসসিতে কম জিপিএ পাওয়া মেধাবী, পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রচেষ্টা প্রমাণে ব্যর্থ হবে। আগের ফলাফলের গড় করে পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ এক ধরনের জোরপূর্বক এবং বেআইনি আরোপ। যা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ আইনত করতে পারেন না।


সর্বশেষ সংবাদ