৯ মাদ্রাসায় একজন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও ফেল!

  © ফাইল ফটো

চলতি বছর মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৮টি। এর মধ্যে ৯টি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ছিল একজন করে। অথচ সেই একজন পরীক্ষার্থীও ফেল করেছে।

জানা যায়, এ বছর এসএসসি ও সমমানের সাধারণ নয়টি, মাদ্রাসা ও কারিগরি- এ ১৩টি বোর্ডে সর্বমোট ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থীই ফেল করেছে। এর মধ্যে শুধু মাদ্রাসা বোর্ডেই এমন প্রতিষ্ঠান ৪৮টি। দাখিল পরীক্ষায় সারা দেশের ৯ হাজার ১০০ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ফেল করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, ঠাকুরগাঁওয়ের গেদুরা ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় দাখিল মাদ্রাসা, রাণীশংকৈলের সি এস দাখিল মাদ্রাসা, জামালপুরের সূর্যনগর বসুন্ধরা আদর্শ মাদ্রাসা, দিনাজপুরের খানসামার মারগাঁও ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মুক্তাগাছা বিন্যাকুড়ি দাখিল মাদ্রাসা, নাটোরের শেখপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, পটুয়াখালীর বেগম রাবেয়া ইয়াছিন বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, বাগাতিপাড়া। 

এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান কায়সার আহমেদ বলেন, এক সময় যেনতেনভাবে মাদ্রাসা অনুমোদন পেয়েছে বলে এই অবস্থা। শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি, প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত মাদ্রাসার পাঠদানের আদেশ বাতিল করতে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে।

এদিকে এবার সার্বিক পাসের হার আগের তুলনায় বাড়লেও মাদ্রাসার ক্ষেত্রে এ চিত্র উল্টো। চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়া দুই লাখ ৭৬ হাজার ৮১৫ জনের মধ্যে পাস করেছে দুই লাখ ২৮ হাজার ৪১০ জন। গতবার ৮৩ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ পাস করলেও এবার সে হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ। অতীতে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের পাসের হার বেশি ছিল। ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ।

সার্বিক বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দিন বলেন, অতীতে শতভাগ ফেল করা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, এবারও নেওয়া  হবে। প্রথমে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ