যে কারণে ভেঙেছে টুটুল-তানিয়ার সংসার
শোবিজ জগতে তারা পরিচিত ছিলেন ‘হ্যাপি কাপল’ নামে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে সংসার করেছেন। ভক্তদের কাছেও তাদের গ্রহণযোগ্যতা দারুণ। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের লম্বা পথচলায় ছেদ টেনেছেন এস আই টুটুল ও তানিয়া আহমেদ। তাদের এই বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেছেন না অনেকেই।
বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে তানিয়া আহমেদ জানান, আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, এটা সত্য। নিয়মের বাইরে গিয়ে টুটুল কিছু করেননি। তবে ডিভোর্সের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি অভিনেত্রী-নির্মাতা।
এদিকে এস আই টুটুল জানিয়েছেন, গত বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। এর আগে প্রায় ৫ বছর তারা আলাদা ছিলেন। মতের মিল না হওয়ায় দু’জনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই বিচ্ছেদ করেছেন দম্পতি।
আরও পড়ুন: ১৯ বছরেই সুপারহিরো হয়ে ওঠেন মুসলিম কিশোরী ইমান
টুটুল ও তানিয়া বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৯ সালে। এরপর থেকে সুখেই সংসার করে আসছিলেন। তাদের ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তিন সন্তানকে নিয়ে তানিয়া-টুটুলের সুখের অন্ত ছিল না।
একসঙ্গে দীর্ঘদিন সংসার করার পর তাদের মনে হয়েছে, সম্পর্কটা ঠিক আগের মতো নেই। এটাকে টেনে নেওয়াও দু’জনের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বিচ্ছেদের স্টেশনে নেমে দু’জন দুদিকে এগোলেন।
অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের মনেও ধাক্কা দিয়েছে টুটুল-তানিয়ার ডিভোর্সের খবর। ফেসবুকে এক পোস্টে সে কথাই লিখেছেন তিনি।
সিদ্দিক লিখেছেন, ‘টুটুল ভাই এবং তানিয়া আপার একটি সন্তানের নাম আরশ, আমার সন্তানের নামও আরশ। কিন্তু আমি কখনও ভাবিনি আরশ নামের সন্তানদের জীবনে একই অবস্থা হবে। সত্যি আমরা মিডিয়ার মানুষরা কী করি, কী করছি, কী করা উচিত এগুলো নিয়ে আরেকটু ভাবতে হবে।’
এই অভিনেতার ভাষ্যে, ‘আসলে আমি কখনো কোন কিছু বলতে চাইনি এইসব নিয়ে। কিন্তু আজ আর পারলাম না। মনে হলো কোন কিছু বলা উচিত, আমাদের কেন এমন হচ্ছে? আসলে কি আমরা অনেক খারাপ? নাকি বিধাতা আমাদেরকে এভাবেই জীবন দিয়ে পাঠিয়েছেন। আমরা না হয় আমাদের জীবন আনন্দে কাটিয়ে গেলাম। আমাদের সন্তানরা কি দোষ করেছে? আমাদের জন্য তাদের এমন জীবন গড়তে হবে কেন? আজকে একটা নিউজ দেখে আমার মনটা অনেক খারাপ।’