স্যার, আদালতে কথা না বলতে পারলে বলব কোথায়?
মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) এ মামলার অভিযোগ শুনানি শেষ হয়।
পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আগামী ১৮ মে ধার্য করেছেন।
শুনানিতে আদালতে পরীমনির সঙ্গে তার স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এ মামলায় জামিনে থাকা তিন আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ শহিদুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিকালে পরীমনি এক ঘণ্টা আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আসামিরা কেন অভিযোগ গঠন থেকে অব্যাহতি পাবেন, সেই যুক্তি আদালতের শুনানিতে তুলে ধরেন।
অন্যদিকে পরীমনি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ গঠন করা উচিত, সেই যুক্তি তুলে ধরেন।
শুনানির একপর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন পরীমনি। পরীমনি বোট ক্লাবে কী হয়েছিল, তা বলতে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুন : এবার আসছে ব্যাচেলর রমজান, কাবিলা-পাশাদের ইমাম শুভ!
পরীমনি বলেন, স্যার, আসামি শাহ শহিদুল ইসলাম আমার হাত ধরে রেখেছিলেন। সেদিন অমি প্ল্যান করে বোট ক্লাবে আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন।
আদালত পরীমনির বক্তব্য দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিলে পরীমনি বলেন, স্যার, আমি যদি আদালতে দাঁড়িয়ে কথা না বলতে পারি, তাহলে কথা বলব কোথায়?
আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে পরীমনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আমার সঠিক বিচার লাগবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমি লড়ে যাব।
প্রসঙ্গত, ৮ জুন রাতে পরীমনিকে কৌশলে ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যায় তুহিন। সেখানে তাকে মদ পান করানোর চেষ্টা করেন নাসির। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন পরীমনি। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন পরীমনি। পরে গেল বছরের ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, শহিদুল ও তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।