ফিমুকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে ‘মা-বোনদের স্বপ্ন পূরণ’ করলেন ফাহিম

বিয়ের অনুষ্ঠানে ফাহিম-মানজিয়া
বিয়ের অনুষ্ঠানে ফাহিম-মানজিয়া  © সংগৃহীত

আরএস ফাহিম চৌধুরী দেশে স্টান্ট রাইডার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তার প্রকৃত নাম কামরুল হাসান চৌধুরী। স্টান্টবাজির পাশাপাশি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি। সম্প্রতি তিনি বেশ ধুমধামে মানজিয়া ফিমু নামে আরেক ভ্লগারের সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন। মূলত তাদের বিয়ে হয় ২০১৯ সালে।

ফাহিম-মানজিয়া দম্পতি তাদের বিয়ের এ আনুষ্ঠানিকতাকে নিজেদের দ্বিতীয় বিয়ে বলে উল্লেখ করেছেন। চার বছর আগে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর মানজিয়া ফিমুকেই বিয়ে করেছিলেন ফাহিম। তখন তার পকেটে ছিল ৫ হাজার টাকা ছিল বলে জানিয়েছেন।

May be an image of 1 person, studying and text

২০১৯ সালে ফাহিম-মানজিয়ার বিয়ে

ফাহিম জানান, তার স্ত্রীর স্বপ্ন ছিলো বৌ সাজবে, মায়ের স্বপ্ন ছিলো পুরো এলাকা লাইটিং করবে আর বোনদের স্বপ্ন ছিলো তার বিয়েতে নাঁচবে। কিন্তু টাকার অভাবে তখন সেই স্বপ্ন পূরণ করা হয়নি।

বিয়ে আগে থেকে ফাহিম-মানজিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ফাহিমের একটা রেস্টুরেন্ট ছিলো। সে রেস্টুরেন্টে মানজিয়া খেতে এসেছিলেন। সেখানেই মানজিয়ার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ফাহিমের। আর সেখান থেকে প্রেমের শুরু। পরে অবশ্য  ২০১৯ সালে জুনে ফাহিমের ওই রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। তবে এগোতে থাকে তাদের সম্পর্ক।

ফাহিমের জন্ম চৌদ্দগ্রামের কুমিল্লায়। তিনি ১৯৯৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। তবে বেড়ে উঠেছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। প্রথমে তিনি সাইকেল স্টান্টের ভিডিও বানাতেন। ২০১৫ সালে তিনি তার প্রথম ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার ও বাইকার। তিনি তার ভ্লগের জন্য পরিচিত।

May be an image of 5 people, henna, people smiling and wedding

মানজিয়া ফিমুও একজন সোশ্যাল মিডিয়া স্টার। মানজিয়া ফিমু ১৯৯৯ সালের ১৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার ইনস্টাগ্রামে ছবির জন্য পরিচিত।

দ্বিতীয় বিয়ের নিয়ে ফাহিম বলেন, বিয়ে করেছি তো ৪ বছর হয়ে গেলো। কিন্তু তখন পকেটে ছিলো ৫ হাজার টাকা। তখন আমার বৌয়ের স্বপ্ন ছিলো বৌ সাঁজবে, বোনদের স্বপ্ন ছিলো নেঁচে ভাবী আনবে। আম্মুর স্বপ্ন ছিলো এলাকায় লাইট লাগাবে। বন্ধু-বান্ধব ছোট ভাইদের স্বপ্ন ভাবী বলে ডাকবে।

তিনি বলেন, ‘‘তখন এই বাবা হারা ছেলের পক্ষে এত কিছুর সার্মথ্য ছিলো না। কত গালি খাইছি জীবনে, কত অবহেলা সহ্য করেছি। পরিবারের বড় ছেলে দায়িত্ব বেশি। যতটুকু শেষ সার্মথ্য ছিলো সেভাবে তাকে (মানজিয়া) আবার এনেছি। কথা দিয়েছিলাম, কথা রাখলাম।’’

May be an image of 10 people, lighting, wedding and dais

২০২৩ সালে বিয়ের অনুষ্ঠান

মানজিয়া ফিমু বলেন, ফাহিম আমার জন্য অনেক করেছেন। শুধু আমার বললে ভুল হবে, সবার জন্য অনেক করেছেন। যেভাবে চেয়েছি, যেমনটা চেয়েছি তার থেকে দ্বিগুন করেছেন। আমি কখনই তাকে নিয়ে কিছু বলিনি। কারণ যা বলবো খুবই কম হবে তার জন্য।

ফিমু বলেন, সবাই বলে আমি নাকি ভাগ্যবতী। আসলেই আমি অনেক ভাগ্যবতী একটা মেয়ে। তিনি কখনই আমাকে মন খারাপ দেখতে পারেন না। সবসময় হাসিতে বলেন। ফাহিম আমার সব ইচ্ছে পূরণ করেছে। ৪ বছর আগে বলেছে যে খুব ধুমধামে করে আমাকে বাসায় আনবে। সেই কথাটাও রেখেছে। তিনি অনেক ভালো মনের মানুষ। তার কাছে আমার সবথেকে বড় পাওয়া হচ্ছে, তিনি আমার বাবা-মাকে অনেক সম্মান করেন।


সর্বশেষ সংবাদ