চিরসবুজ অভিনেত্রী পূর্ণিমার আজ জন্মদিন
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার আজ জন্মদিন। ১৯৮৪ সালের আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এই তিনি। তার শৈশব কাটে সেখানেই। মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিনেমা জগতে পা রাখেন। প্রায় দুই দশক ধরে নিজেকে ঢালিউডের সবুজ নায়িকা হিসেবে শক্ত আবস্থান তৈরি করেছেন পূর্ণিমা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিনেমা জগতে পা রাখেন পূর্ণিমা। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘এ জীবন তোমার আমার’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে।
তার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। চট্টগ্রামেই কেটেছে তার শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষাজীবন। অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থেকেই চলচ্চিত্রে নাম লেখান। এরপর প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত ছবি উপহার দিয়েছেন।
মাঝের বেশ কিছু সময় চলচ্চিত্রে না থাকলেও ছোটপর্দায় তাকে পাওয়া গেছে নিয়মিত। কখনো উপস্থাপনায়, কখনো নাটকে। বর্তমানে সিনেমায় খুব একটা নিয়মিত নন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় ‘জ্যাম‘ ও ‘গাঙচিল’ নামের দুটি সিনেমা রয়েছে। দুটি সিনেমাই পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। মানসম্মত যে কোনো কাজের প্রতিই তার বেশ আগ্রহ। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি বারবার বলেছেন যে, মনের মতো গল্প না পেলে প্রস্তাবে সাড়া দেবেন না।
১৯৯৭ সালে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকির হোসেন রাজুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার অভিষেক ঘটে। এরপর অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি উপহার দেন। ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা পূর্ণিমা।
২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ ছবির জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ধোঁকা’, ‘শিকারী’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘টাকা’, ‘শাস্তি’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: আফরান নিশোকে বয়কটের ডাক শাকিবিয়ানদের
তবে ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া মতিউর রহমান পানু পরিচালিত ‘মনের মাঝে তুমি’ তার ক্যারিয়ারকে অনেকটাই শীর্ষে নিয়ে যায়। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তান জন্ম দেন এই অভিনেত্রী। মেয়ের নাম রেখেছেন আরশিয়া উমাইজা। এই প্রজন্মের নিকটও পূর্ণিমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়।
তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ল্যাবরেটরি’, ‘এখনো ভালোবাসি’, ‘নীলিমার প্রান্তে দাঁড়িয়ে’, ‘অমানিশা’, ‘ওইখানে যেও নাকো তুমি’, ‘উল্টোধনুক’, ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাত দিন’, ‘লাভ অ্যান্ড কোং’, ‘ফিরে যাওয়া হলো না’ ইত্যাদি। এরপর নাটকের পাশাপাশি মডেলিং, উপস্থাপনাতেও সাফল্য পান এ জনপ্রিয় অভিনেত্রী।