মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশের সেরা ৫০ এ কুবির অনন্যা
বিবাহিত নারীদের নিয়ে আয়োজিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘বি বি বি (বিডি বাজেট বিউটি) মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২’ প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক বাছাই পর্বে সেরা ৫০ এ জায়গা করে নিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সহিহা কবীর অনন্যা।
অনন্যা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সাবেক সহ সভাপতি।
প্রতিযোগিতার শুরুতে অংশগ্রহণের জন্য প্রায় আট হাজার প্রতিযোগী নিবন্ধন করেন। অডিশনের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেখান থেকে পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রাথমিক বাছাই পর্বে। সেখান থেকে একশ জনকে নির্বাচন করা হয় পরবর্তী পর্বের জন্য।
আরও পড়ুন: ঢাবির কনসার্টে পথশিশুকে বুকে টেনে নিলেন চিরকুটের সুমি
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনন্যা বলেন,অনুভূতিটা আসলে আমি বুঝতেছি না। আমি আশাই করিনি এখানে আসতে পারবো। অডিশনের তিনদিন আগে ওদের পেইজে পোস্ট দেখে আবেদন করি। দুদিন সময় ছিল, তো প্রথম দিন অডিশন দিতে পারিনি, দ্বিতীয় দিন দেই। আসলে এই সাফল্যে আমার থেকে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বেশি খুশি।
তিনি বলেন, এখানে আসলে কারও মাধ্যমে না, নিজে থেকেই যাওয়া। আমি যেহেতু বাংলা বিভাগের ছাত্রী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সহ সভাপতি ছিলাম তাই আমি নাচ, গান , আবৃত্তি, অভিনয় সবই করেছি । আসলে পড়াশোনা থেকে সাংস্কৃতিক বিষয়ের প্রতি আমার বেশি ঝোঁক ছিল। সত্যি বলতে বিয়ের পর এমন প্ল্যাটফর্মে যাওয়া আমার জন্য বাধা না, বরং প্লাস পয়েন্ট।
পরিবার থেকে বিষয়টি কীভাবে নিয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অনন্যা জানালেন, বিয়ের আগে কোথাও অংশগ্রহণ করতে পারিনি। এমন সাহসও করিনি। বিয়ের পর এই প্রথম যখন দেখলাম মিসেস বাংলাদেশের অডিশন হবে তখন আমার শাশুড়ি মায়ের সাথে কথা বলি বিষয়টা নিয়ে। তিনিই তখন বললেন তুমি অংশগ্রহণ করো। প্রথম দিনের অডিশনে পঁচিশ বছরের পুরোনো শাড়ি পরে গিয়েছিলাম। যেটা আমার শ্বশুর আব্বা শ্বাশুড়ী আম্মাকে পঁচিশ বছর পূর্বে বিদেশ থেকে এনে দিয়েছিলো।
প্রসঙ্গত, গ্রুমিং ও অডিশনের মাধ্যমে শীর্ষ ৫০ ও পর্যায়ক্রমে ২০ ও ১০ জনকে নির্বাচন করে এই মাসের ২৯ তারিখে প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে।