কাশ্মীরে ইমরান হাসমির গায়ে পাথর নিক্ষেপ, গ্রেপ্তার ১
কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ‘গ্রাউন্ড জিরো’ ছবির শুটিং করতে গেছেন বলিউড অভিনেতা ইমরান হাসমি। শুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় তিনি পহেলগাঁওয়ের মূল বাজারে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। তার সঙ্গে ছবির কিছু কলাকুশলী ছিলেন। বাজারের মধ্যে হঠাৎই একদল অজ্ঞাত লোক ইমরান আর অন্যদের উদ্দেশ্যে পাথর ছুড়ে মারতে থাকে।
পহেলগাঁও পুলিশ স্টেশনে এই মামলার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যারা পাথর ছুড়ে আক্রমণ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ৩৭০, ৩৩৬, ৩২৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে। একজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ইমরান গুরুতর আঘাত পাননি বলে জানা গেছে। তাঁর ‘গ্রাউন্ড জিরো’ ছবিটি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সেনাদের ওপর নির্মিত। এর আগে এই ছবির শুটিং শ্রীনগরে হয়েছিল। ইমরান ১৪ দিন মতো শ্রীনগরে ছিলেন। শ্রীনগরের এসপি কলেজে তিনি শুটিং করেছিলেন। কথা ছিল যে ইমরান তাঁর ভক্তদের সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু কোনো কারণবশত তা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: আই নো বাংলাদেশ, আই লাভ বাংলাদেশ: রোনালদো
‘গ্রাউন্ড জিরো’-র ছবিটি পরিচালনা করছেন তেজস দেউস্কর। ইমরান ছাড়া এই ছবিতে আছেন সাই তামহনকর, আর জোয়া হুসেন। ইমরানকে আগামী দিনে বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘সেলফি’ ছবিতে দেখা যাবে। এ ছাড়া তিনি সালমান খানের সঙ্গে আসতে চলেছেন ‘টাইগার–থ্রি’ ছবিতে। এই ছবিতে ইমরানকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শুটিংয়ের জন্য বিখ্যাত কাশ্মীর নব্বই দশকের পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একই সঙ্গে সেখানে একের পর এক সিনেমা হলগুলোর কার্যক্রম থেমে যায়। আজ মঙ্গলবার আবার নতুন করে খুলছে কাশ্মীরের সিনেমা হলগুলো। পুলওয়ামা ও সোপিয়ানে নতুন দুটি সিনেমা হলের উদ্বোধন করেছেন সেখানকার উপরাজ্যপাল।
দীর্ঘদিন পর কাশ্মীরকে বলিউড ছবির শুটিংয়ের হটস্পট করে তুলতে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। শুটিংয়ের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০০ নতুন ছবির শুটিংয়ের আবেদন জমা পড়ছে। এর মধ্যে ১৫০ শুটিংয়ের আবেদনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পর্যটন দপ্তর জানিয়েছে, উপত্যকায় শুটিংয়ের জন্য আরও ৭৫টির বেশি নতুন স্পট প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। শুধু বলিউড নয়, দক্ষিণ ভারতের সিনেমা নির্মাতারও উপত্যকায় শুটিং করতে আগ্রহী। তবে গতকাল পহলগামে শুটিংয়ে আসা বলিউড অভিনেতা ও কলকুশলীদের ওপর আক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। বাড়ানো হচ্ছে শুটিংয়ের নিরাপত্তা।