শিক্ষার্থীদের জন্য আসছে ডিএনসিসির স্কুলবাস
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় স্কুলবাস চালু করার কথা বলেছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। গেল বছরের সেপ্টেম্বরের শুরু দিকে এ ঘোষণা দেন তিনি। প্রথম ধাপে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ৪টি স্কুলে তা চালু করার কথা বলা হলেও আপাতত ১টি স্কুলে তা চালু করতে সবকিছু চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাস চালুসংক্রান্ত প্রাথমিক কর্মকৌশল নির্ধারণ সভায় এ বছর (২০২৩) মে মাসে তা চালু করার কথা বলা হলেও চলতি মাসেই তা চালু করা যাচ্ছে না। পরিবর্তিত পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী আগস্টে ১টি স্কুল দিয়ে তা শুরু করার আশা প্রকাশ করেছেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ঢাকা শহরে স্কুলবাস চালু হলে যানজট কমার সাথে সাথে দূষণ এবং কার্বন নিঃসরণও অনেকাংশে কমে আসবে। তবে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অভিভাবকদের সদিচ্ছাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে যানজট কমাতে স্কুলবাস সার্ভিস
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থী প্রতি আলাদা আলাদা গাড়ি ব্যবহার করার ফলে অসংখ্য প্রাইভেট কার রাস্তায় চলাচল করছে। বাধ্যতামূলকভাবে স্কুলবাস চালু করা গেলে প্রাইভেট কারের ব্যবহার ব্যাপক হারে কমে যাবে। ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে বাসে যাওয়া-আসা করলে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হবে, সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হবে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে পাইলট প্রকল্প হিসেবে যে ৪টি স্কুলে স্কুলবাস চালু করার কথা বলা হয়েছিল সে স্কুল গুলো হলো চিটাগং গ্রামার স্কুল-ঢাকা, স্কলাস্টিকা স্কুল, স্যার জন উইলসন স্কুল ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল স্কুল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাত্র একটি স্কুলে বাস চালু করার বিষয়ে সবকিছু নিশ্চিত করতে পেরেছে ডিএনসিসি। আরও একটি স্কুল এতে যুক্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, আপাতত ৪ টা না আমরা ১ টা স্কুল নিয়ে শুরু করবো। আরও একটা স্কুল যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা মে মাসেই শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্কুল গুলোর নিজস্ব কিছু ইস্যুর কারণে আমরা আগস্ট মাস থেকে শুরু করবো।
স্কুল বাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। অ্যাপসের মাধ্যমে বাসটি বর্তমানে কোথায় আছে তার অবস্থান জানতে ট্র্যাকিং করা যাবে। থাকবে বিশেষ হটলাইন নাম্বার যেটির মাধ্যমে অভিভাবকরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবেন। সময়, নিরাপত্তা ও খরচ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ বাস সার্ভিস টেকসই সমাধান হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।