শাবিপ্রবির সৈয়দ মুজতবা আলী হলে ভর্তি শুরু

সৈয়দ মুজতবা আলী হল
সৈয়দ মুজতবা আলী হল   © সংগৃহীত

দীর্ঘদিন আবাসন সংকটে আছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। এ সংকট কাটাতে ইতোমধ্যে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর এই হল উদ্বোধন করা হবে।

আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে হলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আরেফিন খান ভর্তির তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর সৈয়দ মুজতবা আলী হল উদ্বোধন করা হবে। এ উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে হলের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে হলের নতুন রুমগুলোতে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন। তাই আজ (শনিবার) সকাল থেকে হলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। হলের খাবারের মান, পড়াশোনার পরিবেশ, ইন্টারনেট, নিরাপদ পানিসহ বিভিন্ন সুয়োগ-সুবিধা রয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনে হলের চারপাশে ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ লাগানো হয়েছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা সুন্দর একটি পরিবেশে থেকে পড়াশোনা করুক।

আরও পড়ুন: রাবি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য রক্ষায় অবৈধ ৫০ দোকান উচ্ছেদ

জানা যায়, ২০১১ সালের আগস্টে মুজতবা আলী হলের উদ্বোধন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। জনপ্রিয় রম্য লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর নামে এ হলের নামকরণ করা হয়। শুরুতে তিন তলা বিশিষ্ট একটিমাত্র ব্লকে শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতা ছিল ৬৮ জন। পরে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ বছর পর ২০২০ সালের শুরুতে এ হলের বর্ধিত করণের কাজ শুরু হয়। যার কাজ নেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সৈয়দ আলী বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। হল বর্ধিতকরণে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এতে শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতা ৪শতাধিক। বর্তমানে এ হলের ৪টি ব্লকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতি। আগামী ২ সেপ্টেম্বর হল উদ্বোধন এবং ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা হলে ওঠার কথা রয়েছে।

হল প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, আধুনিক এই হলের রুমগুলোতে টাইলস, ডিজাইন করা আলমারি, উন্নতমানের চেয়ার-টেবিল, বেড, টেবিল ল্যাম্প, পর্দা টানানোর স্ট্যান্ড ও উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা রুম, গেস্ট রুম, নামাজের রুম, মেডিক্যাল রুম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৩টি রিডিং রুম, টিভি রুম, ডাইনিং, স্টেশনারি শপ, সেলুন, লন্ড্রি, মটর সাইকেল স্ট্যান্ড, বাইসাইকেল স্ট্যান্ড, শীতকালীন, গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলার ব্যবস্থাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া হলের সৌন্দর্য বর্ধনে চারপাশে বিভিন্ন ধরনের ফল-ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ