র্যাগিংয়ের ভয়ে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে শিক্ষার্থী আহত
র্যাগিংয়ের ভয়ে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ করেছেন। সোমবার (২৮ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মেসে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. তারেক। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই র্যাগিংয়ের ভয়ে ছিলেন তারেক। ঘটনার দিন তাকে র্যাগ দেয়া হবে এমন খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। র্যাগিং থেকে বাঁচতে তার মেসের বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করেন। এসময় হাত ফসকে নিচে পড়ে যায় তারেক। এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারায় সে।
পরে আশপাশের মেস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসক তারেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই ছাড়পত্র দেয়। এই ঘটনায় মঙ্গলবার নিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় সে।
আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা দরকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই’
অভিযোগ পত্রে তারেক জানান, সোমবার (২৮ মার্চ) ক্যাম্পাসের নিকটস্থ সন্তোষের আরিফনগরে অবস্থিত একটি ছাত্রাবাসে দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ইএসআরএম বিভাগের শিক্ষার্থী শামিম, আজমাইন, সেলিম, মাহিন, রাহাত এবং সম্ভাব্য ফার্মেসি বিভাগের সাফিসহ আরো কয়েকজনের দ্বারা র্যাগিং এর শিকার হয়েছি। এর ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া কঠিন হবে উল্লেখ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তারেক।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইএসআরএম বিভাগের শামীম ও রাহাত জানায় তারা ঐ রাতে এমন কোন ঘটনা ঘটায়নি। বরং প্রথম বর্ষের ঐ শিক্ষার্থী আগে থেকেই নিজ বিভাগের র্যাগিং নিয়ে ভীত ছিল। র্যাগিং তো দুরের কথা কি কারণে তারেক ভয় পেয়ে মেস থেকে বেড়িয়ে গেছে তাও তারা জানেনা বলে জানায়।
আরও পড়ুন: ঢাবির টিএসসিতে ধর্ষণ, জানে না প্রশাসন
এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
অন্যদিকে তারেককে শারীরিক ও মানসিক সকল ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রোকুনুজ্জামান।