বশেমুরবিপ্রবির হলে কক্ষ দখলের অভিযোগ, আসনের সুষ্ঠু বণ্টনে বাধা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে অবৈধভাবে কক্ষ দখলের অভিযোগ করেছেন হলটির শিক্ষার্থীদের একাংশ। একইসঙ্গে হল প্রভোস্টের উদ্যোগ নেয়া আসনের সুষ্ঠু বণ্টনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন দখলদার শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে বিষয়টি সমাধানে উপাচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একাংশ।
উপাচার্য বরাবর করা প্রায় ৫৬ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন তাদের হলের কার্যক্রম অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে চলছিলো। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী অবৈধভাবে সিট দখল করার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টনে বিঘ্ন হচ্ছে। ফলে হলের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। যার মধ্যে ‘মাদক’ অন্যতম।
একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি হল প্রভোস্ট মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া হলের গণরুম থেকে শিক্ষার্থীদের সাধারণ রুমে সিট প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু সিট প্রদানের পর দেখা যায় ইতোমধ্যে সিটসমূহ দখল হয়ে গেছে। তবে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে গণমাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশেও রাজি হননি।
আরও পড়ুন: অবশেষে প্রধান ফটক পাচ্ছে বশেমুরবিপ্রবি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, হল প্রভোস্ট নিয়মানুযায়ী সিট বন্টনের উদ্যোগ নিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি সিট দখলের বিষয়ে বাঁধাও দেন। কিন্তু দখলদার শিক্ষার্থীরা তার সাথে অসদাচরণ করে। তাই আমরা চাই হলে সুষ্ঠুভাবে সিট বন্টনে উপাচার্য মহোদয় হস্তক্ষেপ করুক এবং অবৈধভাবে সিট দখলকারী ও হল প্রভোস্টের সাথে অসদাচরণকারী এসকল শিক্ষার্থীদের হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হোক।
হল প্রভোস্ট মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, স্বাধীনভাবে আমি আমার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। হলের কোনো শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত পক্ষে-বিপক্ষে কোনো অভিযোগ আমার কাছে জানায়নি। শুনেছি, কিছু শিক্ষার্থী তাদের সমস্যার কথা জানিয়ে উপাচার্য স্যারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি ভালো বলতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন রেখে দেন। এসময় তিনি পরবর্তীতে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। হলের বিষয়ে তার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।