খাবার লবণে প্লাস্টিকের সন্ধান, পুরষ্কার পেলেন শাবি গবেষক

পুরষ্কার গ্রহন করছেন শাবি গবেষক
পুরষ্কার গ্রহন করছেন শাবি গবেষক  © টিডিসি ফটো

খাবার লবণে জন্য ক্ষতিকর ‘মাইক্রো প্লাস্টিকের’ (আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিক) সন্ধান পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক দল গবেষক।

খুলনা বিশ্ববিদ্যলয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মলেনে তাদের গবেষণাপত্র ‘বেস্ট স্পিকার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছে বলে জানান গবেষক দলের সদস্য ফুড ইঞ্জিনিয়ারং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের স্নাতককোত্তরের শিক্ষার্থী আমজাদ পাটোয়ারি ।

দেশের প্রথম সারির কয়েকটি ব্র্যান্ডের খাবার লবণ নিয়ে গবেষণা করে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর মাইক্রো প্লাস্টিকের (আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিক) সন্ধান পেয়েছেন (শাবিপ্রবি) গবেষক দল। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিন সদস্যের গবেষক দলে আছেন, তত্ত্বাবধায়ক ও শাবিপ্রবির ফুড ইঞ্জিনিয়ারং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জি এম রবিউল ইসলাম, এফইটি বিভাগের প্রভাষক জাহিদ হাসান সৌরভ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আমজাদ পাটোয়ারি।

প্রভাষক জাহিদ হাসান বলেন, প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক টুথপেস্ট, ক্রিম থেকে শুরু করে নিত্য অনেক পণ্যেই ব্যবহার হয়। আমরা দুটি ব্র্যান্ডের লবণ নিয়ে গবেষণা করে এটি পেয়ছি। মাইক্রোপ্লাস্টিক পানির সঙ্গে মিশে খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানবদেহে ঢোকে, যা পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

আরও পড়ুন: নিপুণের বিরুদ্ধে জায়েদ খানের মামলা

গবেষক দলের আরেক সদস্য জাহিদ হাসান সৌরভ বলেন, গত ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ‘খাবার লবণে মাইক্রো প্লাস্টিক’ গবেষণাটি ‘বেস্ট স্পিকার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেছে।

গবেষণার সার্বিক চিত্র তুলে ধরে এফইটির বিভাগীয় ও গবেষক দলের প্রধান জি. এম. বরিউল ইসলাম বলেন, খাবার লবণের দুইটি নমুনায় মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। সল্ট-১ নমুনায় প্রায় ৮৮ শতাংশ এবং সল্টা-২ নমুনায় প্রায় ৯০ শতাংশ অতিক্ষুদ্র কণা মাইক্রো প্লাস্টিক মিলেছে। উভয় নমুনাতেই বিভিন্ন প্রকারের প্লাস্টিকের মধ্যে ‘পলি এমাইড’ সর্বোচ্চ পরিমাণে পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।

এর কারন জানতে চাইলে গবেষক দলের প্রধান বলেন, এখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এদেশে গত ১০ বছরে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ মাথাপিছু প্রায় ২ কেজি থেকে বেড়ে সাড়ে ৩ কেজি হয়েছে। কিন্তু এসব প্লাস্টিক বর্জ্য যথাযতভাবে নির্গত করা হয় না। এর ফলে এসব ক্ষতিকর প্লাস্টিক সামুদ্রিক উৎস থেকে প্রাপ্ত খাবারে পাওয়া যাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ