১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:২৫

শরীরে ৭৫ স্প্লিন্টার নিয়ে ঘুরছেন শাবিপ্রবির সজল

শাবিপ্রবিতে ফেরার পর সহপাঠী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সজল কুন্ডু   © সংগৃহীত ছবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলায় আহত শিক্ষার্থী সজল কুণ্ডের অস্ত্রোপচারের পর এখনো তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৭৫টি স্প্লিন্টার রয়ে গেছে। পুলিশের শটগান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের সময় ৮৩টি স্প্লিন্টারে গুরুতর আহত হন তিনি। ঢাকায় চিকিৎসা শেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ফিরেন তিনি। 

আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সজল কুণ্ড গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৫ দিন যাবৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এর মধ্যেই আমার হাতে একটি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়, যাতে ডান হাতের গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুর আশপাশের স্পর্শকাতর অঞ্চল থেকে ৪টি স্প্লিন্টার অপসারণ করা হয়। এখনো আমার শরীরে বেশ কিছু স্থানে ৭৫টিরও বেশি স্প্লিন্টার রয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘুমের ওষুধ খেয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের আত্মহত্যা

চিকিৎসকেরা আপাতত অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নিচ্ছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে হয়তো এসব স্প্লিন্টার শরীরে নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে হবে। যা থেকে ভবিষ্যতে নতুন নতুন শারীরিক জটিলতা তৈরি হওয়ার শঙ্কাও অমূলক নয়। 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি প্রদান, আমার ভবিষ্যতের সমস্ত চিকিৎসা খরচ সরকারের পক্ষ থেকে বহন ও আমাকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি ছিল। আমাকে চাকরি প্রদানের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী মৌখিক আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত আমার ভবিষ্যতের চিকিৎসা খরচ বহন ও এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট আশ্বাস পাইনি।’

আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে স্কুল-কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

উল্লেখ্য, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু ১৩ জানুয়ারি। সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।

১৬ জানুয়ারি থেকে উপাচার্য ফরিদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। ২৬ জানুয়ারি অধ্যাপক জাফর ইকবালের আশ্বাসে তারা এক সপ্তাহের অনশন ভাঙেন।