নোবিপ্রবির সাবেক ভিসির দুর্নীতি তদন্তে দুদকের চিঠি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. অহিদুজ্জামানের অনিয়ম-দুর্নীতির রেকর্ডপত্র পাঠাতে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফেরদৌসী আহসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আজ বৃহস্পতিবারের (১০ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান কর্তৃক সংঘটিত অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যে ১০ বিদেশি ভাষা শিখলে ক্যারিয়ার গড়তে ভূমিকা রাখতে পারে
দুদক প্রেরিত ওই চিঠিতে মোট ১৭টি বিষয়ে রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.এম অহিদুজ্জামানের কর্মকালীন তার বিদেশ সফর (চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ইতালি,জাপান ইত্যাদি) ভ্রমণসূচি ও খরচের বিবরণী সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, তার ব্যবহৃত গাড়ি ক্রয় ও ব্যবহার সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, গাড়ি ক্রয়ে ইউজিসির অনুমোদিত বরাদ্দপত্র, গাড়ি প্রাক্কলন, গাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামানের গাড়িচালক মনির হোসেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও পরবর্তী স্থায়ী নিয়োগের রেকর্ডপত্র ও তার বেতন ভাতার বিস্তারিত বিবরণ এবং গাড়িচালক মনির হোসেন কোথায় গাড়ি পরিচালনা করেছেন তার রেকর্ডপত্র, অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামানের সময়কালে ইতালি থেকে লিফট ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, ইতালি ভ্রমণের খরচ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র ও লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
আরও চাওয়া হয়েছে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে তার দায়িত্বপালনকালীন পারিতোষিকের বিবরণ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের নিয়োগ ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাবদ টিএ ও ডিএ'র বিবরণ, তার সময়কালে হাইকোর্টের রিটের জন্য আইনজীবী নিয়োগ ও এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচের বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র, তার সময়কালে উপাচার্যের বাংলোর কৃষিপণ্য, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, মাছ চাষে আয়/ব্যয়ের বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র, অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান যোগদানের পর ঢাকা ও বরিশাল/ঝালকাঠিতে ভ্রমণের কারণ ও ভ্রমণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়ের বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা বাবদ সাবেক উপাচার্যের পারিতোষিক গ্রহণের বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র, তার কর্মকালীন ইম্প্রেস মানি বাবদ উপাচার্যের অফিস ও বাসভবনের জন্য ব্যয়িত ও বরাদ্দকৃত অর্থের বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র, তার কর্মকালীন উপাচার্যের বাসভবন এয়ারমার্ক সংক্রান্ত বিবরণ ও রেকর্ড এবং বাড়িভাড়া বাবদ অর্থগ্রহণের বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র।
আরও পড়ুন: মুসকানকে ঘিরে ভুয়া তথ্যের প্রচারণা
এছাড়াও উপাচার্য অধ্যাপক ড.এম অহিদুজ্জামানের সময়ে ১৯ জন শিক্ষকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের রেকর্ড ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নীতিমালা, তার সময়ে অডিট সেলের প্রধানে নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ড ও সহকারী পরিচালকে নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কার্স দপ্তরের পরিচালক পদে নিজাম উদ্দিনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, সহকারী প্রগ্রামার পদে জাকির হোসেন, প্রধান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আল আহাদ ও এলডি পদে আরিফকে নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ড, চিফ মেডিকেল অফিসার পদে ডা. মোখলেছ-উজ-জামানকে নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র ও নীতিমালা এবং সাবেক উপাচার্য অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য ও তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত কপি ও রেকর্ডপত্র চেয়েছে দুদক।