সহসাই শুরু হচ্ছে না শাবিপ্রবির ভর্তি কার্যক্রম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) স্থগিত থাকা ভর্তি কার্যক্রম সহসাই শুরু হচ্ছে না। ভিসি ইস্যু সুরাহা না হওয়া এবং ভর্তি কমিটির অধিকাংশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভর্তি কার্যক্রমের এমন অচলাবস্থায় ক্ষুব্ধ ভর্তিচ্ছুরা।
গত ৪ জানুয়ারি থেকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ধাপে ধাপে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম মেধাতালিকায় উত্তীর্ণদের ভর্তি করানো হয়। কিন্তু ভর্তির জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে তা শেষ হয়নি। সর্বশেষ ভিসি বিরোধী আন্দোলনের কারণে ২২ জানুয়ারি অনির্দিষ্টকালের জন্য ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে কমিটি।
প্রথম মেধাতালিকায় ভর্তি শেষে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ভর্তি হয়েছে মাত্র ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৪ দশমিক ২২ শতাংশ। পরে ১৭ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় মেধাতালিকার ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ১৭৮টি আসন ফাঁকা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
আরও পড়ুন- ৭৪ শতাংশেরও বেশি আসন ফাঁকা শাবিপ্রবিতে
সূত্র জানায়, ১৩ জানুয়ারি সিরাজুন্নেসা হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন রূপ হয়ে ভিসি বিরোধী আন্দোলনে। আন্দোলন দমাতে প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তবে তখনো ভর্তি কার্যক্রম চলছিলো। আন্দোলনকারীরাও ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা দেয় নি। পরে ২২ জানুয়ারি ভর্তি কমিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। ভিসি ইস্যুর সমাধান না হওয়ায় ভর্তি কমিটিও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। একই সঙ্গে কমিটির অনেক সদস্যই করোনায় আক্রান্ত। কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুশতাকও শারীরিকভাবে অসুস্থ। যার কারণে কমিটি কোনো সভায় বসতে পারছেন না। ফলে সহসাই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এতে অনিশ্চিয়তায় পড়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন- শাবিপ্রবির ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত
ভর্তিচ্ছুরা বলেছেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি শেষ হয়ে ক্লাসও শুরু হয়ে গেছে। আর আমরা এখনো ভর্তি হতে পারেনি। এছাড়া আন্দোলনের কারণে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। কবে নাগাদ এই অচলাবস্থা শেষ হবে তাও পরিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ বলছেন না।
এ বিষয়ে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল হোসাইনী বলেন, আমরা খুব দ্রুত কমিটির সদস্যরা সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।