ভিসির পদত্যাগের সঙ্গে ১৪ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন থেকে সরে আসলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যের পদত্যাগের সঙ্গে ১৪টি সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে মুক্ত আলোচনা শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সমস্যাগুলোর কথা তুলে ধরে সমাধান দাবি করা হয়েছে।
সমস্যাগুলো হলো- সজলকুন্ডসহ সকল আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার নিয়ে অনিশ্চিয়তা, ক্যাম্পাসে পুলিশের অবাধ বিচরণ, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার সাথে সরাসরি শিক্ষার্থীদের মুক্ত আলোচনা ও জবাবদিহিতার কোন ব্যবস্থা না থাকা, শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা না থাকা, ক্যাম্পাসে সকল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীর স্বাধীন চলাচলের অধিকার না থাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ে টং না থাকা।
আরও পড়ুন: ‘ড্যাম কেয়ার’ দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যরা
এছাড়াও গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকা, পরীক্ষায় ডিজিটাল গ্রেডিং সিস্টেম না থাকা, সকল সুযোগ সুবিধাসহ ৩৬৫ দিন হল খোলা না থাকা, পর্যাপ্ত রিডিং রুম না থাকা, সপ্তাহে ৭ দিন লাইব্রেরি খোলা না থাকা, ক্রেডিট ফি ও উন্নয়ন ফি দফায় দফায় বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যা, অপর্যাপ্ত হল ও আসন সংখ্যা, শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বাস ও রুট সংখ্যা না থাকা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি সিলেটে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংকট ও সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোচনায় বসলে এইসব সমস্যা তুলে ধরা হবে।
এদিকে, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসাবে এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে উপাচার্য বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলার শুরুর আগে ফুটবলের গায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উল্লেখ করে ‘ফরিদ’ লিখেন। এরপর উপাচার্যের নাম লেখা ফুটবল নিয়ে শুরু হয় খেলা!
আরও পড়ুন: ফুটবলে ভিসির নাম লিখে খেললেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
তবে বিষয়টি আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদ হিসেবে দেখলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভালোভাবে নেননি। একজন শিক্ষকের (উপাচার্য) নাম ফুটবলের গায়ে লিখে খেলাটা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এবং খুবই বেমানান বলে মন্তব্য করেছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।