আন্দোলনে বহিরাগতদের ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ নাকচ
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অষ্টম দিন চলছে আজ সোমবার। দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনকারীরা বহিরাগত এবং আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে বলে যে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা মিথ্যা।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে বহিরাগত কারও ইন্ধন আছে কিনা, সন্দেহ শিক্ষামন্ত্রীর
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ প্রবেশদ্বারগুলোতে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সংবাদকর্মী ছাড়া বহিরাগত কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিচয় যাচাই করে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচারী উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বাঁধন ছিন্ন হয়েছে। তাই আমরা আর তাঁকে আর চাই না। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। এখানে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনের অভিযোগ অযৌক্তিক।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে মোহাইমিনুল বাশার বলেন, আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এখানে বহিরাগতদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তাই আমরা সবার পরিচয় যাচাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছি।
এই আন্দোলনকে অহিংস হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অনশন যখন ১০০ ঘণ্টায় যায়, তখন বাধ্য হয়েই আমরা উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিই। আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দীর্ঘ অনশনে আমাদের সহপাঠীদের শারীরিক অবস্থা যখন ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে, তখন এমন প্রশ্ন খুবই বেদনাদায়ক।
হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার পর গত বুধবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবি তুলে আজ সোমবার ষষ্ঠ দিনের মতো ধরে অনশন চলছে শাবিপ্রবিতে।
আন্দোলন চলার মধ্যে গত শনিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় শাবিপ্রবির শিক্ষক প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ‘এই আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া আরও কেউ জড়িত বা ইন্ধন আছে কি-না’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এর পর গতকাল রবিবার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও এই আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন। সর্বশেষ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এক বিবৃতিতে বলছে, এই আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ এই আন্দোলনে ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। একটি বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে বলে প্রতীয়মান হয়।