‘শাবিপ্রবির সংকট সমাধানে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৩৯ PM , আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৩৯ PM
তীব্র শীত আর কুয়াশার মধ্যে ১০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবির আন্দোলনে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের হামলার পর এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরই পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের চলমান আমরণ অনশনে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব দিলেই চলমান সংকট সমাধান হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষের অবশ্যই বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে। শীতের মধ্যে শিক্ষার্থীরা গণঅনশনের ডাক দিয়েছে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাস ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির সংকট যেভাবে সমাধান হতে পারে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাসার রাজ বলেন, আমাদের আন্দোলনের দশম দিন শেষ হয়েছে, অনশনের পঞ্চম দিনও শেষ হয়েছে। এতে অনশনের ১০০ ঘণ্টা পার হলেও ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশানুরূপ সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য তাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে, আমরণ অনশনরত ১৯ শিক্ষার্থী ‘গুরুতর অসুস্থ’ হয়ে পড়েছেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেটের তিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৯ জন শিক্ষার্থী হাসপাতাল ভর্তি আছেন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাকি ৭-৮ জন অনশনকারী শিক্ষার্থী ভিসির বাস ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এর আগে অনশনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিলেন ১৬ জন।
আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষ অপসারণ দাবি থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শাবিপ্রবির সংকট সমাধানে সময়ক্ষেপণের আর সুযোগ নেই। কারণ শিক্ষার্থীরা গণঅনশনের ডাক দিয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনই মূল্যবান। একটু অবহেলায় অঘটন ঘটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের কোনো যৌক্তিক দাবি এড়িয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিলেটের সাধারণ মানুষও একাত্মতা ঘোষণা করছেন। এই বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট মহল আমলে নেবে বলে বিশ্বাস করি।