পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে দুই দিনব্যাপী ৪র্থ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে দুইদিনব্যাপী ৪র্থ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- “বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণার সর্বশেষ অগ্রগতি”।
রবিবার (২৩শে জানুয়ারি) সকাল ১১.০০ টায় চুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে দুইদিনব্যাপী ৪র্থ “ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফিজিক্স ফর সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি; আইসিপিএসডিটি-২০২২” শীর্ষক আন্তর্জাতিক ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২জন শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন শহীদ মিনারে
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দার, বিশেষ অতিথি চুয়েটের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, শুভেচ্ছা বক্তা কনফারেন্স সেক্রেটারি ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এইচ.এম.এ.আর. মারুফ। কনফারেন্স অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিমেষ কুমার চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ভিসিকে অপসারণের দাবি সংসদে
কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েট উপাচার্য বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পদার্থ বিজ্ঞানের গুরুত্ব সুস্পষ্ট। পদার্থ বিজ্ঞান হলো সবচেয়ে মৌলিক বৈজ্ঞানিক শাখাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মহাবিশ্ব কীভাবে আচরণ করে তা বোঝা। ভবিষ্যত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক জ্ঞান পদার্থ বিজ্ঞানই তৈরি করে। বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা বিকাশের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে চুয়েট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে ফুল দিতে লাগবে টিকার সনদ
এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বর্তমান যে অগ্রগতি ও টেকসই উন্নয়ন দৃশ্যমান তাতে পদার্থ বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। আমি প্রত্যাশা করছি দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানী, পদার্থবিদ এবং প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ এবং তাদের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল, অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে সকলের জ্ঞান ও তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এই কনফারেন্স সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।”
দুইদিনব্যাপী কনফারেন্সে ৫টি কী-নোট স্পিস, ৯টি ইনভাইটেড স্পিস, ৮টি টেকনিক্যাল সেশন এবং একটি পোস্টার সেশনেরে আয়োজন করা হয়। এতে মোট ১০১টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। দ্বিতীয় দিনে কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি, বুয়েট, সাস্ট, জবি, কুয়েট, বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের শিক্ষক-গবেষক ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণে বিশ্বের শীর্ষস্থানে ঢাকা
একইদিন দেশের প্রতিথযশা পদার্থবিদ অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. আজহারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশীদ, অধ্যাপক ড. মিহির কুমার রায়সহ কনফারেন্সের সকল কী-নোট স্পিকার, ইনভাইটেড স্পিকার, সেশন চেয়ার, কো-চেয়ার ও অংশগ্রহণকারীদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল ডিসকাশনও অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে কী-নোট স্পিকার ছিলেন- কানাডার আলবার্টা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ওয়েইন কে. হাইবার্ট, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাসিত এবং বিএএস ফেলো অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. আজহারুল ইসলাম। এছাড়া সমাপনী দিনের কী-নোট স্পিকার ছিলেন- শাহজাহাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী ও বিসিএসআইআর এর গবেষক ড. আবদুল গফুর।