শিক্ষার্থীরা অধিকার আদায়ে লড়াই করছে: মান্না
শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির নিয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আসাদ পরিষদের উদ্যোগে শহীদ আসাদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মান্না বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদের অধিকার আদায়ে লড়াই করছে, অনশন করছে, মারাও যেতে পারে। তারা যে লড়াই করছে কিসের জন্য? তারা এমন বড় কিছু চায়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়নি, সরকারের পদত্যাগ চায়নি, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ চায়।কিন্তু ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগ করবেন না কেন?
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ভিসিকে অপসারণের দাবি সংসদে
‘‘আমি পদত্যাগ করতে পারি যদি সরকার বলে। ভাবতে পারেন! কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ক্ষমতা নাই সরকারের অনুমতি ব্যতিরেখে এমনকি পদত্যাগ করতে। ওইখানে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তার অসদাচরণের কারণে, তার দুর্নীতির কারণে তাকে পথের মধ্যে, রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখেন ২৪ ঘণ্টা, তার পরও তিনি বলতে পারেন না আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি থাকতে পারব না। এতই দাসের দাস।’’
এদিকে, ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে আজকের মধ্যেই অপসারণের দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। এদিন সংসদ অধিবেশনে এ দাবি তোলে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, কারো সঙ্গে আলাপ, আলোচনা নয়। শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী আছেন। ভাইস চ্যান্সেলরকে আজকের মধ্যেই ওখান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আসেন। ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যেতে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ফরিদের পদত্যাগ চান না ৩৪ ভিসি
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শিক্ষাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে? আমাদের এখানে তিনটা থার্ড ডিভিশন, তিনটা থার্ড ক্লাস পাবার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি পাচ্ছেন, ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হচ্ছেন। এই সচিবালয়ে ঢুকে দেখেন সচিবালয়ে সচিব আছেন যিনি তিনটা থার্ডক্লাস পেয়েছেন।
সরকারের সমালোচনা করে মান্না আরও বলেন, আর আমাদের এমনি অসাধারণ যোগ্যতাসম্পন্ন এক শ মানুষ খুঁজে নেন কেবল তাকেই ভোট দিতে পারেন- এই দুটো লোক সবচেয়ে অযোগ্য, এই দুটো লোক সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ, এই দুটো সবচেয়ে দালালিতে এক্সপার্ট তাকে নিয়ে মন্ত্রী বানিয়ে দিতে পারবেন। মন্ত্রীগুলোর চেহারা দেখছেন না। পুরো দেশকে এইভাবে নৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।