শাবিপ্রবিতে অনশনরত আরও এক শিক্ষার্থী অসুস্থ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা আরও এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. বাবলু হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার বিকাল ৩টা থেকে অনশন শুরু করছিলেন ওই শিক্ষার্থী। প্রায় ২১ ঘণ্টা না খাওয়া ও তীব্র শীতের কারণে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ছিল তার। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজল দাস।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের অপসারণে কোনো তদন্ত কমিটি চান না আন্দোলনকারীরা
ডা. বাবলু হোসেন জানান, জ্বর ও প্রেশার কমে যাওয়ায় তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তাই দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেই।
এদিকে শাবিপ্রবি চিকিৎসা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসরাবা সুলতানার নেতৃত্বে একদল স্বাস্থ্যকর্মী আন্দোলনস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের চিকিৎসা নিতে অস্বীকার করেছেন।
ডা. মাসরাবা জানান, তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনস্থলের পাশেই পুরো সময় থাকবেন। তারা চাইলে তিনি তার দায়িত্ব পালন করতে চান।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ বছরের ক্ষোভের বিস্ফোরণেই শাবিপ্রবিতে আন্দোলন-অনশন
এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে অনশন কর্মসূচির সময় দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, বাংলা বিভাগের মোজাম্মেল হক ও সমাজকর্ম বিভাগের দীপান্বিতা বৃষ্টি।
এদিকে রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
এই দলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, সিনিয়র অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম, অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, অধ্যাপক আমেনা পারভীন, অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায়সহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক।
আরও পড়ুন: ভিসির বাসভবনের সামনে শীতের সারা রাত কাটছে ২৪ অনশনকারীর
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের কাছে জানতে চান, তাদের দাবির সঙ্গে একমত কি না। এর উত্তর দেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম।
একপর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষক জোড় হাত করে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন অনশন ছেড়ে যাওয়ার। জবাবে একই কায়দায় তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানানোর অনুরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের অবস্থান অনড় দেখে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল ছেড়ে যান শিক্ষকরা।