ভিসির সঙ্গে সাক্ষাত, প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগ দাবি শাবি ছাত্রীদের
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা ও কমিটির অন্য সদস্যদের পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে লিখিতভাবে দিয়েছেন হলটি ছাত্রীরা। এতে ফলপ্রসূ সমাধান না পেয়ে ছাত্রীরা ফের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ছাত্রীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। এসময় ছাত্রীরা তাদের হলের আবাসন সমস্যার কথা উপাচার্যকে জানান এবং এর প্রতিকার চান। উপাচার্য তাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ছাত্রীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত শাবিপ্রবি
এর আগে, এদিন মধ্যরাত থেকে ছাত্রীরা হলের সমস্যার কথা জানিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে সামনে অবস্থান নেন। পরে রাত আড়াইটায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাসভবন থেকে বের হয়ে ছাত্রীদের কথা শুনেন। এরপর উপাচার্য ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে বসার আশ্বাস দিলে রাতে তারা হলে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরলেন ছাত্রীরা
ছাত্রীদের তিনটি দাবি হলো- দায়িত্বহীন প্রভোস্ট কমিটিকে পদত্যাগ করতে হবে; অবিলম্বে হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা নির্মুল করতে হবে এবং হলের সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; অবিলম্বে ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রভোস্ট কমিটি নিয়োগ দিতে হবে।
আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্রী জানান, উপাচার্য স্যারে আশ্বাসে আমরা গতকাল রাতে হলে ফিরে যাই। এসময় তিনি আজ সকালে আমাদের সঙ্গে বাসার কথা জানিয়েছেন। পরে আমরা আজ সকালে গিয়ে আমাদের বিষয়গুলো স্যারকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি তেমন কোনো সমাধান আমাদের জানাতে পারেননি।
ছাত্রীদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন নতুন টিচারের সঙ্কট রয়েছে। তাই এ মুহূর্তেই নতুন প্রভোস্টও নিয়োগ সম্ভব নয়। ছাত্রীদের দাবি ছিল, প্রভোস্ট কমিটি যেন তাদের আচরণের জন্য ছাত্রীদের ‘সরি’ বলেন। উপাচার্য বলেন, একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন না। এছাড়া এসময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, আবাসন সঙ্কট ও ভাড়া মওকুফ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের আশ্বাস দেন।
উপাচার্যের সাক্ষাতে অসন্তুষ্ট ছাত্রীরা, ফের বিক্ষোভ
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাতে তেমন ফলপ্রসূ কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান ছাত্রীরা। তারা উপাচার্যের আশ্বাসে সন্তুষ্টও হতে পারেননি। ছাত্রীদের প্রতিনিধি দল দুপুর ১টার দিকে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বাইরে অপেক্ষমান ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া তুলে ধরলে এতে অসন্তুষ প্রকাশ করেন তারা। এসময় তারা তাদের পূর্বের দাবিগুলো নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন।