হলে শিক্ষার্থী তুলে সশরীরে ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নেবে নোবিপ্রবি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)  © ফাইল ছবি

আবাসিক হলসমূহে শিক্ষার্থী তোলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। দীর্ঘ ১৯ মাস পর হল খোলার সিদ্ধান্ত হলেও এখনো সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্লাসে ফেরাতে ক্যাম্পাসে টিকাকেন্দ্র চালু করে সকলকে টিকার আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা হলে উঠার পর সার্বিক দিক বিবেচনা করে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে পরামর্শ করে খুব শিগগির ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে৷ তবে নভেম্বরেই শ্রেণি কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

জানা গেছে, আগামী ৩১ অক্টোবর নোবিপ্রবির আবাসিক হলসমূহ চালু করা হবে। গতকাল শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার- উল আলমের সভাপতিত্বে এই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেওয়ার সনদ ও হলের বৈধ কাগজপত্র দেখানো সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। করোনা টিকাকেন্দ্র স্থাপন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম চালুর অন্যসব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও কোভিড ১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবের তত্ত্বাবধানে টিকা কেন্দ্র পরিচালনা করা হবে। নোবিপ্রবি কোভিড-১৯ ল্যাবের ফোকাল পয়েন্ট ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, যেসব শিক্ষার্থী নোয়াখালী জেনারেল হসপিটাল কেন্দ্রে রেজিষ্ট্রেশন করে এখনো টিকার একটি ডোজও পায়নি এবং ইতিপূর্বে অন্য কোথাও টিকার জন্য আবেদন করেনি শুধুমাত্র তারাই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালকে নির্বাচন করে ক্যাম্পাসের টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে। 

তিনি আরও বলেন, ২৬ অক্টোবর থেকে এই কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চালু হবে। এতে নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার ও নার্স কর্তৃক টিকা প্রদান করা হবে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে থাকবে নোবিপ্রবি বিএনসিসির ১০ জন ক্যাডেট। ২৬ অক্টোবরের আগেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত নোটিশ অনুযায়ী, সুরক্ষা অ্যাপ দিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশনে টিকার কেন্দ্র হিসেবে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল নির্বাচন করে রেজিস্ট্রেশন করেছে (এসএমএস পায়নি) ও টিকা নেয়নি  তাদের ১ম ডোজ  এবং  যারা ১ম ডোজ নিয়েছে তাদের ২য় ডোজ নোবিপ্রবি কেন্দ্রে দেওয়া হবে। 

যেসব শিক্ষার্থী নোয়াখালীর বাইরের কেন্দ্রে টিকার রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের এই কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার সুযোগ নেই বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নিজ নিজ জেলার সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

টিকাকেন্দ্র প্রসঙ্গে নোবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ও মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমার ছাত্র-ছাত্রীরা সচেতন ভাবে নিজ উদ্যোগে এসে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করা ক্যাম্পাসে ফিরবে এটাই আমার প্রত্যাশা।


সর্বশেষ সংবাদ