২০ পেরিয়ে একুশে, বশেমুরবিপ্রবি দিবস আজ
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ০১:১৬ PM , আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২১, ০১:১৬ PM
২১ তম বছরে পদার্পণ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। ২০০১ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে বশেমুরবিপ্রবি আইন-২০০১ পাসের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি বছরে অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তায় উপাচার্য বলেন, “দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে আরও মানসম্মত ও বিশ্বমানের গবেষণা, প্রকাশনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক ভাবমূর্তির উন্নয়ন, প্রতিটি স্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা গবেষণায় দেশ ও জাতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এই প্রত্যয়ে এগিয়ে যাক প্রাণের প্রতিষ্ঠান।”
দিবস উদযাপন নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনে বেশ কিছু পরিকল্পনা থাকলেও কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে না থাকায় সকল আনুষ্ঠানিকতাই অপূর্ণ থেকে যায়। আমরা আশা করি কোভিড-১৯ অতিমারি মুক্ত হয়ে আগামীতে জাকজমকপূর্ণ ভাবে উদ্যাপিত হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পটি বন্ধ ঘোষণা করে। পুনঃক্ষমতায় এসে ২০১০ সালে আওয়ামীলীগ সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি পুনরুজ্জীবিত করে এবং ২০১১ সালে মাত্র ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আটটি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন।