দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কার দাবিতে উত্তাল নোবিপ্রবি
- নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২০, ০১:২৭ PM , আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২০, ০৪:১৫ PM
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রতীক মজুমদার ও দীপ্ত পালকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
অবস্থান কর্মসূচিতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার স্থান নাই’, ‘ধর্ম নিয়ে কটুক্তি কেন প্রশাসন বিচার চাই’, ‘নোবিপ্রবির আঙ্গিনায় সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ স্লোগানে তারা অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ৩৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। এই দেশ শাহজালালের দেশ, এই দেশ শাহ মাখদুমের দেশ। এখানে কেউ ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে বাংলার মুসলমান কখনো চুপ করে বসে থাকবে না।
তারা বলেন, অনতিবিলম্বে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তিকারী প্রতীক মজুমদার ও পাল দীপ্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় শান্ত ক্যাম্পাস, শান্ত দেশকে অশান্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও জবাবদিহি করতে হবে। তাদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীরা এই দুই শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কারসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী পাল দীপ্ত এবং একই বর্ষের ইএসডিএম বিভাগের প্রতিক মজুমদার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত করে খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যদি কারো ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত হানে তাহলে সে যে ধর্মের ই হোক না কেন আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।