অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে হাবিপ্রবিতে মানববন্ধন
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:২৯ PM , আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:৫৫ PM
গত আগস্টের ২০ তারিখ থেকে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অনলাইনে ক্লাস শুরু সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু যাদের দু-একটি পরীক্ষা বাকী আছে তাদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো দ্রুত শেষ করতে আজ সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো সমাপ্ত করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ অনুষদের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. তারেক বলেন, ‘শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া গত কয়েকমাস থেকেই দেশের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের সেশনজট দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
তারেক বলেন, ফিসারিজ ১৮ ব্যাচের লেভেল ২ সেমিস্টার ২’র ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল মার্চ মাসের শেষদিকে। কিন্তু করোনার সাধারণ ছুটি শুরু হওয়াতে সব ভেস্তে যায়। করোনার সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পূর্বেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আন্দোলন ও অন্যান্য কারণে প্রায় ৪ মাসের জট ছিল। বর্তমানে সে জট প্রায় ১ বছরের মতো হতে চলেছে।
হাবিপ্রবির এ শিক্ষার্থী বলেন, ইউজিসি থেকে গত জুলাই মাসে অনলাইন ক্লাস শুরু করার কথা বলা হলেও হাবিপ্রবি প্রশাসন সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয় ২০ আগস্টে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হাবিপ্রবি প্রশাসন শুধুমাত্র অসমাপ্ত সেমিস্টারের ক্লাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। যাদের ফাইনাল পরীক্ষা আটকে গেছে তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসাবে বলতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ করুক। কিংবা পরবর্তী সেমিস্টারের অনলাইন ক্লাস শুরু করুক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম রুহুল আমিন বলেন, ‘গত মাসের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেখানে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে অসমাপ্ত সেমিস্টারের ক্লাসগুলো সমাপ্ত করার ব্যাপারে। কিন্তু যাদের পরীক্ষা আটকে আছে তাদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, এটি শুধু একটি লেভেলের কিংবা একটি বিভাগের কিংবা একটি অনুষদের জন্য নয় বরং সকল অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করতে পারিনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমরা তখন সেভাবে একাডেমিক কার্যক্রাম পরিচালনা করবো।
এদিকে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন মানববন্ধন অনাকাঙ্ক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সে দায়ভার কে নেবে?
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেওয়ার কথা চিন্তা করছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তা করছি। সরকারের সিদ্ধান্তের উপর বিষয়গুলো নির্ভর করছে।