বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অবরুদ্ধ

  © টিডিসি ফটো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানসহ প্রায় ৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ইউজিসি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন করছে তারা।

আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষক কর্মকর্তারা মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং রুমে মিটিং আয়োজন করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদেরকে বাইরে থেকে অবরুদ্ধ করে রুমের সামনে অবস্থান করে।

এদিকে সকাল থেকে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আবারো প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বিভাগটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা উপাচার্য দপ্তর, রেজিস্ট্রার দপ্তর, প্রক্টর দপ্তর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর, অর্থ দপ্তর সহ সকল দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর ফলে প্রশাসনিক কোনো কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রবেশ করতে পারছেন না এবং কার্যক্রম ও পরিচালনা করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাশেদ জানান, ‘আমরা গত ১৮ ফেব্রুয়ারী প্রশাসনকে ১৫ কর্মদিবস সময়সীমা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তাই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা সকল দপ্তরে তালা দিয়েছি।’

এদিকে গতকাল একই দাবিতে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয় এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছিলো বিভাগটির ৫০ সদস্যের একটি দল। পরবর্তীতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সাথে তাদের একটি আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বিভাগটির চলমান তিনটি ব্যাচের অনুমোদন প্রদান করা হবে কিন্তু পরবর্তীতে বিভাগটিতে আর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে কিনা সে বিষয়ে ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বশেমুরবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী বিভাগটিতে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর নির্দেশ দেয় ইউজিসি।

ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারী রাত থেকেই প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ইউজিসি ১৮ ফেব্রুয়ারী ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে কিন্তু প্রায় ১৭ দিন পার হয়ে গেলেও কমিটি এখন পর্যন্ত কোনো কার্যক্রম শুরু করেনি।


সর্বশেষ সংবাদ