বশেমুরবিপ্রবিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ (ভিডিও)

  © টিডিসি ফটো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)প্রথম বর্ষ মেয়ে কেন্দ্রিক তুচ্ছ ঘঠনা কে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের দফায় দফায় সংঘর্ষ।এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার বেলা ১১ টার পর থেকে হল গেট সংলগ্ন দফায় দফায় আইন বিভাগ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা অঙ্কিতকে মারধর করে। পরবর্তীতে অঙ্কিতকে উদ্ধার করতে এবং বিষয়টি মিমাংসা করতে তার সহপাঠী সহ আইন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আসেন। কিন্তু এসময় তাদের মধ্যে আবার পুনরায় সংঘর্ষ হয়।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, আইন অনুষদের ডিন মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. হাসিবুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। সংঘর্ষে আইন বিভাগের প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দুজন এবং আইন বিভাগের তিনজন গোপালগঞ্জ সদর হসপিটালে ভর্তি আছে।

এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অঙ্কিত জানান, ‘‘গত ২৯ জানুয়ারি বাসে খুলনা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাওনের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে সে আমার কাছে আমার ফোনটি চায় এবং তার এক বান্ধবীকে কল দিয়ে কিছু সময় কথা বলে। পরবর্তীতে তার ওই মেয়ে আমাকে পুনরায় কল দিয়ে আমার সাথে দেখা করতে চায়।আজ দেখা করতে গেলে তখন পলিটিকাল সায়েন্স বিভাগের দুজন শিক্ষার্থী এসে আমার পরিচয় জানতে চায় এবং আমি আমার পরিচয় দেয়ার পরপরই আমাকে মারতে শুরু করে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ জানান, ‘‘অঙ্কিত দীর্ঘদিন যাবৎ ফেসবুকে আমাদের এক ছোটো বোনকে উত্তক্ত করছিলো। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য আইন বিভাগের অঙ্কিতকে আমরা ডাকি। এসময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কোনো কারন ব্যতিতই আমাদের ওপর হামলা করে।’’

এদিকে দুপুর ৫.৩০ টায় সমঝোতার জন্য আলোচনা চলাকালীন সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা
আইনবিভাগের শিক্ষকদের লাঞ্চিত করে আইন বিভাগসহ ৫ বিভাগের ক্লাস রুমে ভাংগচুর চালায়।

আইন বিভাগের শিক্ষক উম্মে হাবীবা মৌ বলেন"হামলাকারীদের বার বার শিক্ষক পরিচয় দেয়ার পরেও তারা আমাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করে,পরর্বতীতে ক্লাস রুম ভাংগচুর চালায়।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ রাজিউর রহমান বলেন,তুচ্ছ ঘঠনা কে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরী হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ