অনশনে অসুস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৩:১২ PM , আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৩:৩৮ PM
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) অনশন চলাকালে একজন ছাত্রীসহ চার শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূতকরণের দাবিতে অনশন পালন করছেন ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, শারীরিক দুর্বলতার জন্য ওই চার শিক্ষার্থী অনশন চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এঁদের মধ্যে দুজন গতকাল রাতে এবং বাকীরা আজ সোমবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সর্বশেষ অসুস্থ হওয়া দু’শিক্ষার্থী হলেন শিহাব শাহরিয়ার এবং সাকিবুল হাসান শান্ত। উভয়েই ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তারা বর্তমানে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে গতকাল অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ অপর দু’শিক্ষার্থীর মধ্যে নাফিসা এখনো গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অনশনরত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন দুর্বলতার কারণেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এদিকে গতকাল রাতের পর আজ সকালেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙতে সম্মত হননি। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।
ইটিই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান জানান, ‘আমরা দীর্ঘ ৯১ দিন যাবৎ ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু তারা আমাদের বিষয়টিকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি গত ১৬ জানুয়ারিও আমরা তাদের সাথে আলোচনায় বসি কিন্তু তারা আমাদের কোনো দাবিই মানতে রাজি হননি। এমতাবস্থায় আর কোনো আলোচনার সুযোগ নেই এবং আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান জানান, ‘আমরা তাদের প্রতি আন্তরিক কিন্তু এটি এমন কোনো বিষয় নয় যেটি স্বল্প সময়ে সমাধান করা সম্ভব।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে ইটিই বিভাগকে ইইই বিভগের সাথে একীভূতকরণের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইটিইয়ের চাকরির ক্ষেত্র ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। এছাড়া পাঠ্যক্রম প্রায় একই হলেও ইইই গ্রাজুয়েটদের তুলনায় ইটিই গ্রাজুয়েটদের চাকরির সুযোগ কমে যাওয়ার দাবি করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।