বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ভিসির এ কেমন বন্ধুত্ব!
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১৫ AM , আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১৫ AM
বন্ধুত্বের অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন গোপালগন্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় বন্ধুকে ডেকে এনে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইভস্টক সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এলভিএম) বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি জানিয়েছেন সাবেক উপাচার্যের বন্ধু শফিকুজ্জামান নিজেই। এমনকি তাকে কোনো সিভিও জমা দিতে হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ তোলা হয়। পরবর্তীতে অনুসন্ধান করে জানা যায় বাকৃবির সাবেক এই শিক্ষার্থী কেবলমাত্র বন্ধুত্বের কারণেই ২০১৮ সালে নিয়োগ পেয়েছেন। তার ইতোপূর্বে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা ছিলোনা। প্রায় ১৮ বছর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকল্পের অধীনে কাজ করেছেন তিনি। প্রকল্পটি শেষ হলে তাকে তার বন্ধু ডেকে এনে এলভিএম বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের লেকচারার, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপক এই চারটি ডেজিগনেশনের যেকোনো একটি ডেজিগনেশন থাকলেও শফিকুজ্জামানের কোনো ডেজিগনেশন নেই। এমনকি তাকে চেয়ারম্যান হিসেবেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে।
বশেমুরবিপ্রবি আইন ২০০১ এর ২৫ নং ধারা অনুযায়ী বিভাগোর চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নূন্যতম সহযোগী অধ্যাপক হওয়ার প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে শফিকুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও তার ডেজিগনেশন জানাতে পারেননি। তিনি বলেছেন "সাবেক উপাচার্য আমার বন্ধু ছিলেন, তিনি যখন এলভিএম বিভাগ চালু করেন তখন এখানে কোনো শিক্ষক ছিলো না। আর একইসময়ে আমারো প্রজেক্টের কাজ শেষ হয়। যেহেতু আমি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চাকরি করেছি তাই আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।" চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, "উপাচার্য আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তাই আমি দায়িত্ব পালন করছি।"
উল্লেখ্য, অবৈধ নিয়োগ, স্বেচ্ছাচারীতা, আর্থিক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি শফিকুজ্জামানের অপসারণ চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ করেছে এলভিএমের শিক্ষার্থীরা।