নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সাড়ে চার বছরেও চালু হয়নি হল, তীব্র আবাসন সংকটে শিক্ষার্থীরা
- মো. ফারহান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০৭:১১ PM , আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০১৯, ০১:৩৮ PM
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে একটি ছাত্র ও একটি ছাত্রী হল নির্মাণ কাজ শুরু করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। এরমধ্যে ছাত্র হলের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। আর সাত মাস আগে উদ্বোধন করা হলেও এখনো চালু করা হয়নি ছাত্রী হল। সবমিলিয়ে নির্মাণ কাজের দীর্ঘসূত্রিতায় আবাসন নিয়ে বেশ সংকটে পড়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, দুটি হলের মধ্যে ছাত্রী হলের নাম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও ছাত্র হলের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল।
২০০৬ সালের ২২ জুন ৪টি বিভাগে ১৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা করে। বর্তমানে ২৮টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউটে রয়েছে ৭ হাজার ৩০১ জন শিক্ষার্থী। এদের থাকার জন্য বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে হল চালু রয়েছে ৩টি। ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল, হযরত বিবি খাদিজা হল, সাবেক স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল হল। যা শিক্ষার্থীদের তুলনায় অপ্রতুল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন আবাসন সংকটে চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে থাকার জন্য গুনতে হচ্ছে আলাদা টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে মাইজদী শহরে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে মেসগুলোতে বাড়তি ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া বিভিন্ন সময় মেস থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মোবাইল, ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সপ্তম মাসেও চালু হয়নি হলটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলগুলোর প্রজেক্ট ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল আমরা ফেব্রুয়ারি মাসেই বুঝিয়ে দিয়েছি। এই হলের সাজসজ্জার অতিরিক্ত কিছু টাকা এখনো বকেয়া আছে। বকেয়া টাকাগুলো পেলে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কাজ দ্রুত শেষ করে এই হলটিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিবো’।
হল চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক এ এইচ এম নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ঈদের পরপরেই চালু করা হবে। হলে সিটের জন্য যারা আবেদন করেছে আমরা ঈদের আগেই তাদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলবো। আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কিছু কাজ বাকি আছে আশা করি আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মমিনুল হক বলেন, ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলটি মেয়েদের হওয়ায় কিছু কাজ বাকি থাকায় উদ্বোধন হলেও চালু করা হয়নি। আর হলের কাজ এখন প্রায় সম্পন্ন। ঈদের পর খুব শীঘ্রই হলটি চালু করা হবে। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কাজ এখনো কিছুটা বাকি আছে। যতদ্রুত সম্ভব বাকি কাজ সম্পন্ন করে হলটি চালু করার চেষ্টা করছি’।