ভুল চিকিৎসা: ক্রমশ অবনতি ঘটছে মুন্নীর শারীরিক অবস্থা

  © টিডিসি ফটো

দিনদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মুন্নীর। গতকাল (বুধবার) গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নার্স মুন্নীকে ভুলবশত অ্যানেসথেসিয়ার ইনজেকশন পুশ করলে অচেতন হয়ে যায় সে। এ অবস্থায় পরবর্তীতে কোমায় চলে যায় মুন্নী। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মুন্নী বর্তমানে ডিএমসির আইসিউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

মুন্নীর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে তার বড় ভাই হাসিবুল হাসান রুবেল জানান ‘প্রায় ৫৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মুন্নীর জ্ঞান ফেরেনি বরং ক্রমশ তার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করেছে। চিকিৎসকরাও এখন আর কোনোরূপ নিশ্চয়তা দিতে পারছে না, তারা জানিয়েছেন এখন সৃষ্টিকর্তাই একমাত্র ভরসা।’

এদিকে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত নার্স শাহানাজ পারভীন ও চিকিৎসক তপন কুমার মন্ডলের স্থায়ী চাকরিচ্যুতিসহ চারদফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে পিত্ত থলির পাথর অপারেশন করাতে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডা. তপন কুমার মণ্ডলের কাছে যান মুন্নী। ওই সময় গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেন নার্স শাহনাজ। এতে মুন্নী অজ্ঞান হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ডা. তপন কুমার মণ্ডল, নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন মুন্নীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ২৫ মে’র মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ