ডিপ্লোমাধারীদের হাইকোর্টের রায় অবমাননার প্রতিবাদে কুয়েটে মানববন্ধন
হাইকোর্টের রায় অমান্য করে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে সারা দেশে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং যোগ্য প্রকৌশলীদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং দশম গ্রেডে বিএসসি শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ দিতে হাইকোর্টে রিট করেন বিএসসি শিক্ষার্থীরা। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ আগস্ট দশম গ্রেডের চাকরিতে বিএসসি শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ না দেওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির একটি নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। যেখানে পূর্বে শুধু ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ ছিল। দশম গ্রেডে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার হাইকোর্টের রায় অমান্য করে সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দেয় ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা ও প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মো. সাকিবুল হক লিপুকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।
আরও পড়ুন: গুপ্ত রাজনীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে ঢাবি প্রশাসন: রাকিব (ভিডিও)
ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক বিক্ষোভ ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ জানিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে তারা দশম গ্রেড ও নবম গ্রেডে বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেন। তারা বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পোস্টে ইঞ্জিনিয়াররা কেনো আবেদন করতে পারবে না? ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা দশম গ্রেড পুরোপুরিভাবে অবৈধভাবে দখল করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্র সংকুচিত করে ফেলেছে।পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে প্রমোশন নিয়ে বিসএস সমমান নবম গ্রেডে প্রমোশন পেয়ে যাচ্ছে। যেখানে তাদের বিসিএস পরীক্ষায় বসার কোনো যোগ্যতা নেই। নবম গ্রেডে সংরক্ষিত ৩৩ শতাংশ প্রমোশন নিয়েই তারা থেমে থাকেনি ক্ষেত্রবিশেষে সেটা ৬০-৭০ শতাংশের বেশি হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া তারা চলতি পদ সৃষ্টি করে নবম গ্রেডে প্রমোশন নিয়েছে। ফলে বছরের পর বছর নবম গ্রেডে কোনো সার্কুলার হয় না।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেন, দেশের প্রকৌশল খাতের সংস্কার করতে যোগ্য মানুষদের সুযোগ দিতে হবে। দেশের উন্নতির সঙ্গে জড়িত প্রকৌশল খাতকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে হবে এবং ৩ দফা দাবি শিগগিরই বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে তাদের যে ৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে, সেটা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানায় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।